“গতকাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি টিপু সাহেবকে বলব আপনার ভাষা সংযত করুন। আজেবাজে কথা বলবেন না। সুজন ও রাজু গরু লুট করে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে। আপনারা তাদের মদদ দেন আর বলেন জাকির খান জেল থেকে চাঁদাবাজি করছে। যারা বাইরে আছে তাদের বিরুদ্ধে আগে ব্যাবস্থা নিন। কেউ অপকর্ম করলে প্রশাসন দেখবে।”
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এভাবেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতা আবুল কাউসার আশা বিক্ষোভ মিছিল শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সভায় এমন মন্তব্য করেন।
আবুল কাউসার আশা আরও বলেন, আমাদের কমিটি না থাকলেও হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাদের সাথে হাঁটে। কমিটি না থাকলে আপনারা রিক্সায় ওঠার লোকও পাবেন না। আপনাদের সম্মান জানিয়েই বলতে চাই, আপনাদের সাথে এক সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সত্য যাচাই না করে কাল যে সকল কথা বলেছেন ! কেউ বলেন বাড়ির ইট খুলে নিয়ে আসবেন, কেউ বলেন শহরে থাকতে দিবেন না। আপনাদের বলতে চাই অন্য কোন দলের হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতাম। যেহেতু এক দল করি আপনাদের বলতে চাই চাঁদাবাজদের মদদ দিবেন না।
আপনারা দেখেছেন গত ৫ আগষ্ট দেশে ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর একদল চাঁদাবাজ তাদের স্বার্থ সিদ্ধ করতে চেষ্টা করছে। আমি আমার ভাই আমানতকে হারিয়েছি, স্কুল কলেজের অনেক ছাত্র জীবন দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়েছে। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বাবা ছেলে একসাথে জেল খেটেছি। ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আপনারা হত্যা মামলা দিয়েছেন। যাদের সাথে তালমিল হয় না তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন। এগুলে কেমন রাজনীতি।
এই স্বাধীনতা পুরান বোতলে নতুন মদ ঢালার জন্য হয়নি। আমরা বৈষম্য মুক্ত একটি সমাজ চেয়েছি। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনআমলে মানুষের ভোটাধিকার লুন্ঠিত হয়েছিল, সেভাবেই এক শ্রেনীর লোকজন ৫ তারিখের পর থেকে লুটপাট শুরু করেছে ৷ আমি এসপি সাহেবকে বলবো আমরা সরকারি স্থাপনা রক্ষা করেছি আর তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে । আপনারা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন ।









Discussion about this post