অপরাধীরা যে বহুরূপী, মুহূর্তে মুহূর্তে পরিচয় পাল্টায়, আবার কখনো স্বার্থের জন্য নিজের বাবার নামও পাল্টায় এমনটা প্রমাণ করলেন ফতুল্লার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শরীফ। বিগত সরকারের সময়ে নাান অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনাসহ নানা অপকর্ম করতো এই শরীফ ।
এবার গার্মেন্টসের জুটসহ সকল সাম্রাজ্য হাতিয়ে নিতে প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগ থেকে পল্টি দিয়ে নতুন নাটক মঞ্চায়ন করেই যাচ্ছে শরীফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যুবলীগ নেতা শাহ নিজাম ও ফায়জুলের সাথে সাইনবোর্ড এলাকায় ছাত্র জনতার উপর অস্ত্র হাতে গুলি করে হামলা চালায় শরীফ। এমন ঘটনায় শরীফের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ছাত্র জনতা হত্যার একাধিক মামলার আসামী শরীফ বৃহস্পতিবার বিকেলে লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকায় হঠাৎ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের ব্যানারে সভা করেন।
এতেই এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। কয়েকদিন আগেও যিনি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের দুর্ধষ সন্ত্রাসীদের সাথে শহর ও শহরতলী দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি এখন ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে গেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, শরীফ বিএনপি নেতা বনে যাওয়ার মুল কারন হলো নয়ামাটি এলাকার কয়েকটি গার্মেন্টসের জুট সেক্টরসহ মাদক ও এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা। আর জুটের জন্য শরীফ এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন দলবল নিয়ে ইউরোটেক্সসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসে মহড়া দিচ্ছে। হুমকি দিয়ে গার্মেন্টসের জুট দাবি করছে। এভাবে দলবল নিয়ে মহড়া দিলে মালিক ও শ্রমিকরা আতংকে থাকেন। ব্যবসায়ীদের দাবি অবিলম্বে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হউক।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, শরীফদের মতো সন্ত্রাসীদের জন্যই বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে সমালোচনা হয়। বিএনপিতে কারা শরীফকে ছত্রছায়া দেয় তাদের বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হবে।









Discussion about this post