বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনার মামলার এজাহার নামীয় আসামী মিজান কে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা জুড়ে বিতর্কিত ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) কামরুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সর্ব মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানা যায়, শনিবার রাত আটটার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় আগস্ট মাসে ফতুল্লা থানায় কামাল হোসেনের দায়ের করা মামলার (মামলা নং-২৩) এজাহারনামীয় ৪৪ নাম্বার আসামী মিজান কে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) কামরুল। তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এলে ছাড়িয়ে নিতে শুরু হয় জোড় তদ্ধবির। এক পর্যায়ে গভীর রাতে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় গ্রেফতারকৃত মিজান কে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করলে ও ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে উপপরিদর্শক কামরুল জানায়, তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নন। তিনি শুধু গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছেন। তারপরের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
প্রসঙ্গত: যে বিগত দুই দশকের ও বেশী সময় ধরে কামরুল নারায়নগঞ্জ জেলাতেই রয়েছে ফতুল্লা মডেল থানায় কন্সষ্টেবল থেকে, এ,এস,আই পরবর্তীতে এস, আই হিসেব একাধিক বার কর্মরত ছিলেন। জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তে ও ছিলেন। সর্বশেষ তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। মাঝে কয়েকটা বছর তিনি ফরিদপুর ও নরসিংদিতে ছিলেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে আন্দোলনকারীদের ওপর বোশ আগ্রাসী ভূমীকায় অবতীণ হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সে আওয়ামী সরকারের শাসনামলে সাবেক সাংস শামীম ওসমানের স্ত্রী লিপি ওসমান ও পুত্র অয়ন ওসামনের সাথে সখ্যতা রেখে তাদের নির্দেশনানুযায়ী তৎকালীন বিরোধীদল বিএনপির নেতা- কর্মীদের ওপর নির্যাতন সহ মামলা দিয়ে হয়রানী করে বেড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে এই কর্মকতা কি করে নারায়নগঞ্জ জেলাতেই কর্মরত তা নিয়ে সর্বত্র হচ্ছে সমালোচনা।









Discussion about this post