বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন আবার অনেকেই পল্টিবাজি দিয়ে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের নানাভাবে তুষ্ট করে সেই পুরানো কায়দায় রাম রাজত্ব চালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর শিল্পাঞ্চলখ্যাত ফতুল্লার কাঠেরপুল, রামারবাগ, নয়ামাটিসহ আশপাশ এলাকায় ঝুট সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যূতা করে বেড়াতো শাহ নিজাম ও মোস্তফা কামালের একাধিক বাহিনী । যার অন্যতম লাঠিয়াল প্রধান ছিলো রাজ্জাক।
এই রাজ্জাক এক সময় নগ্ন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও নম পার্ক করার পর আওয়ামীলীগের শাসনামলের ২০১০ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সময়ে রাস্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ এর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে মোস্তফা কামালের দাপট চলাকালীন সময়ে শুরু করে অপকর্ম অত্যাচার । ধুর্ত রাজ্জার মোস্তফা কামালের সাথে সখ্যতা গড়ে তুৃলে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসার এক পর্যায়ে গডফাদার শামীম ওসমানের অত্যান্ত আস্থাভাজন ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এবার শুরু করে সকল ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড।
শাহ নিজামের শেল্টারে এলাকার ব্যবসায়ীদের জিম্মি, প্রতিপক্ষদের উপর হামলা, চাঁদাবাাজি, ঝুট সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুতা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায়। টোকাই থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া রাজ্জাক ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করে যা খুশি তা করেই বেড়াতো।
৫ আগস্টের পর কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও বিএনপি নেতাদের সাথে আঁতাত করে সেই পুরোনো বিশাল বাহিনী নিয়ে এখনো নানা সেক্টরে চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা, ঝুট সন্ত্রাসীসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছে রাজ্জাক ও তার বাহিনী।
ফতুল্লার অনেকের দাবী, এই রাজ্জাক সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পলাতক শাহ নিজাম ও মোস্তফা কামালের দোহাই দিয়ে যা খুশি তা ই করতো, নির্মমভাবে অত্যাচারের হোতা সেই রাজ্জাক এখনো রয়েছে সক্রিয় তার গ্রেফতার ও বিচার দাবীও করেছেন ভুক্তভোগিরা।









Discussion about this post