‘কত রঙো দেখি দুনিয়ায় ও ভাইরে’, সেই বিখ্যাত গাণ এখন গাইছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজলার ফতুল্লার কাশিপুরবাসী ।
এক সময় এই কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন পতিতাপল্লীর দালাল আইয়ুব আলী। যাকে ঘিরে টিপ্পনী রয়েছে এখনো । আইয়ুব আলী ছাড়াও বিনা ভোটে বারবার চেয়ারম্যান হয়ে লম্পট সাইফ উল্লাহ বাদলের অপকর্ম ও লাম্পট্যের ইতিহাস ছিলো অনেক। যা সকলের অজানা নয় । মূমুর্ষ অবস্থায়ও সুরুজ মিয়া হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কারিগর লম্পট সাইফ উল্লাহ বাদলের গডফাদার ছিলো ওসমান পরিবারের শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান।
এই ওসমান পরিবারের কথার বাইরে লম্পট সাইফ উল্লাহ বাদল চলতেই পারতো না। আর বাদলকে পাশ কাটিয়ে ওসমান পরিবারের সাথে সখ্যতা করে অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। অনেকের মধ্যে এই তালিকায় সামান্য মুদি দোকানী থেকে কুখ্যাত অপরাধী আজমেরী ওসমানের অন্যতম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লেবাসধারী হাসান প্রাডো গাড়িতে চষে বেড়ান সর্বত্র।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে আজমেরী ওসমান ছাড়াও ওসমান পরিবারের নাম ব্যবহার করে পিজা শামীমকে সাথে নিয়ে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সন্ত্রাসী হাসান নিজেরি প্রাডো ছাড়াও মটর সাইকেলের বহর নিয়ে খুন, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, দখলবাজি, ছিনতাই ও লুটপাটের মতো সকল ধরণের অপকর্ম করে এখনো টিকে আছে বীরদর্পে। কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লম্পট সাইফ উল্লাহ বাদলের এক সময়ের অন্যতম হাতিয়ার ভোলাইল এলাকার শহর আলী মাদবরের পুত্র দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হাসান স্থা্নীয় মরা খালপাড়ের করবস্থানের জমি বিক্রি করে দিয়ে তোলপাড়ের ঝড় তুললেও ওই সময় ওসমান পরিবার ও লম্পট চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদলের কারণে কেউ এতো বড় অপরাধের বিষয়ে কোন টু শব্দ করতেও পারেন নাই । এরপর ঝুট সন্ত্রাসী কাইল্লা রকমতের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ঝুট কেলেংকারী করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। নিজের ফেসবুক পেইজে আজমেরী ওসমানের সাথে ছবি তুলে তা প্রচার করে রাম রাজত্ব চালায় এই সন্ত্রাসী মহাধূর্ত হাসান।
মহাধূর্ত দূর্ধর্ষ এই হাসান আজমেরী ওসমানের গাড়ী বহরের পাশে পিজা শমীমের অস্ত্র মহড়ার মধ্যে প্রাডো গাড়ি নিয়ে বহরে অবস্থান করতো প্রকাশ্যেই । এতো কিছুর পরও ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর টোল প্লাজার পাশে এ হামলার ঘটনায় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যেই গুলি বর্ষন করে। বন্দর উপজেলার কালাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত রাইসুল হকের জমি ও বাজার দখলের গুলিবর্ষনে চেয়ারম্যানপুত্র পারভেজসহ ১৫ জনকে আহত করে। পরবর্তীতে পরেভেজ মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনায় আজমেরী ওসমানের অন্যতম ঝুট সন্ত্রাসী কাইল্লা রকমতের প্রাডো গাড়ি ক্রয় করে এই হাসান ওই গাড়ী নিয়ে চালিয়ে তান্ডব চালায়। সেই পুরানো দূর্ধর্ষ কায়দায় রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে হাসান।
৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ওসমান পরিবারের শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমানসহ সকল চেলা চামচা পালিয়ে গেলে কিছু দিনের জন্য গাঢাকা দেয় আজমেরী ওসমসান ও কাইল্লা রকমতের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এই হাসান ও তার কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। আগষ্টের পর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফের এই আজমেরী ওসমসান ও কাইল্লা রকমতের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এই হাসান ও তার কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে হুংকার দেয়, “আমি বিএনপির রাজনীতি করি, আমাকে ঠেকাবে কে ?“ এরই মধ্যে কাশিপুরের ভোলাইল এলাকায় নিজেকে বিচারক দাবী করে নানাভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
কাশিপুরের ভোলাইলসহ আশেপাশের এলাকায় অনেকেই কঠোর সমালোচনা করে বলেন, আসলে এই অপরাধীরা এতো সাহস কোথায় পায় ? কোন কোন বিএনপির নেতারা এই অপরাধীদের শেল্টার দিচ্ছে ? নাইলে কাইল্লা রকমত যেমন টিকে আছে এতো অপরাধ করে তেমনি অন্যতম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হাসান নতুন লেবাসে টিকে আছে আর অপরাধ কর্মকান্ড চালচ্ছেই।









Discussion about this post