নারায়ণগঞ্জ যেন মগের মুল্লুক এমনটি অনেকেই প্রমাণ করলেও এবার নগরীতে নানান অপরাধসহ অসংখ্য নারী কেলেংকারীর জন্ম দিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া যেন ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। এতা অপকর্ম করেও বীরদর্পে নগরবাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিলে তার অপরাধের মাত্রা যেন দিন কে দিন বৃদ্ধি করেই চলেছেন ।
সম্প্রতি নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসাযী বাবুল মিয়া তার মেয়েকে তার খালাতো ভাই রুবেলের সাথে বিয়ে দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পর সেই রুবেলকে দিয়ে কোটি কোটি টাকা ঋণ করে নগরীতে বহুতল বাড়ি নির্মান শেষে মেয়েকে দিয়ে রুবেলকে তালাক দেয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসাযী বাবুল।
এতো ঘটনার পর এবার সোহানা আক্তার (৪০) (ছদ্মনাম) নামের একজন নারী সেই বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে দীর্ঘদিন ধর্ষনের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন।
শহরের ২নং রেল গেইট এলাকায় প্রায় ২০ বছর পূর্বে জীবীকার জন্য শরিয়তপুর থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে একটি টং দোকান নিয়ে পলিথিনের ব্যবসা শুরু করে বাবুল মিয়া । এর পর প্রথমে টহল পুলিশকে প্রতি মাসে মাসোয়ারা দিয়ে, তারপর থানার ওসির সাথে সরাসরি মোটা অংকের মাসোয়ার দিয়ে শুরু করে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা। এমন ব্যবসার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের এনডিসি মাঞ্জারুল মান্নান বারবার ট্রাক ভর্তি নিষিদ্ধ পলিথিন আটক করলে এবার জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়মিত মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসার গডফাদার বনে যান বাবুল মিয়া ।
তার কয়েকটি গোডাউনে কোটি কোটি টাকার নিষিদ্ধ পলিথিন থাকলেও নারায়ণগঞ্জের কোন আইনশৃংখলা বাহিনী তো দূরের কথা খোদ কাস্টমস এর কর্মকর্তারা গডফাদার বাবুল মিয়ার কাছে জিম্মি হয়ে ফিরে যায়।
এভাবে নিষিদ্ধ পলিথিনের কারবারে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়ে কাঁচা টাকার জোরে প্রায় প্রতিনিয়ত: কোন না কোন নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে বাড়ী গাড়ী ফ্লাট কিনে দেয়ার প্রলোভেনে ফেলে নিজের স্ত্রী ক্যান্সার রোগী এমন প্রচার করে নানা কেলেংকারী চালিয়ে যাচ্ছে বাবুল মিয়া।
এমন অসংখ্য ঘটনার পর এবার সোহানা আক্তার (৪০) (ছদ্মনাম) নামের একজন নারী মামলা করলে এর বিষয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আমি তার প্রমাণ দেবো আদালতে। আর যা বলেছে তা সব মিথ্যে।
নগরীর নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ীদের গডফাদার বাবুর মিয়ার এমন মন্তব্যের পর ওই নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, “আমার স্বামীকে তালাক দেয়ার পর আমার অসহায়ত্বের সুৃযোগে আমাকে বাবুল মিয়া তার জামতালার বাসায় নিয়ে এনেছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ভূইঘরে বাসা ভাড়া করে থেকেছেন । তার মেয়ের বেডরুমে রেখে আমাকে বাবুল মিয়া বলেছেন আমি জামতালার এই বাড়ির একটি ফ্লাট তোমার নামের লিখে দেবো। ওই সময় তার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য নাকি লন্ডন ছিলো। আর তার সাথে যত নারীর কেলেংকারী আছে তার সকল তথ্য আমার কাছে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন সোহানা আক্তার (৪০) (ছদ্মনাম) নামের এই নারী। একই সাথে একজন প্রভাবশালী আইনজীবীর মাধ্যমে এই ঘটনা ধাসমাচাপা দিতেও নানাভাবে প্রস্তা্ব দিচ্ছেন বলেও জানান এই নারী।









Discussion about this post