মেঘনা নদীতে অবৈধ মাছের ঘের নির্মাণ করে পোনসহ বিভিন্ন জাতের মাছ নিধন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসন।
আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান। মেঘনা নদীতে এমন অবৈধ ঝোপ বা কাঠা ফিসারী উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এমন নিশ্চিত করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মৎস্য অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান।
এমনর উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনজুরুল মোর্শেদ, সোনারগাঁ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
আজ রোববার পরিচালিত অভিযান চলাকালে তিনটি ঝোপের বাঁশ ও জাল কেটে ফেলা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও তিনটি ঝোপের বাঁশ কেটে ও কচুরিপানা সরিয়ে দিয়ে নদী পরিচ্ছন্ন করে ।
ফারজানা রহমান জানান, র্দীঘদিন ধরে মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে মাছের ঘের নির্মাণ করে মাছ নিধন করছে এমন অভিযোগ পেয়েও জেলেদের একাধিক বার সর্তক করা হয়েছিলো, কিন্তু তারা নিজ দায়িত্বে সরানো না হওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। যারা মাছের ঘের দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, বৈদ্যের বাজার ও বারদী ইউনিয়নের জন প্রতিনিধিরা সময় চেয়েছেন মেঘনা নদীতে বিদ্যমান সকল অবৈধ ঝোপ বা কাঁটা ফিসারি সরিয়ে ফেলার প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের ৭ দিনের সময় দিয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ ঝোপ সরিয়ে ফেলা না হলে পরবর্তীতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৎস কর্মকর্তা কর্মকর্তা জানান, মেঘনা নদীতে অবৈধ ঝোঁপ দেওয়ার ফলে নদীতে দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও উৎপাদন কমে যায় । তাই এই ঝোপ উচ্ছেদ করা জরুরী ।









Discussion about this post