বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী আবদুল আউয়াল (৬২) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে।
রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় (১৬ ডিসেম্বর) অচেতন অবস্থায় আউয়ালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ বলেন,আবদুল আউয়াল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলার আসামী হিসেবে বন্দি ছিলেন । অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ও পরে তাকে হাসপাতাল থেকে ঢাকা রেফার্ড করা হয়। আমরা ঢাকা জেলা কারাগারের মাধ্যমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার পর রাত আড়াই টার দিকে মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবদুল আউয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবার নাম আব্দুর রহমান।
আবদুল আউয়ালের পুত্র জামান জানান, “বাবার বিরুদ্ধে দুইটি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। তিনি একজন বয়স্ক মানুষ ছিলেন। সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং প্লট মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন আমার বাবা আব্দুল আউয়াল। তাকে গত ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল হাইকোর্ট থেকে দুটি মামলায় তার জামিন করানো হয় বলেও জানায় নিহতের পুত্র জামান।”
এ ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পরে ময়নাতদন্ত শেষে কারা কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।









Discussion about this post