নারায়ণগঞ্জ বন্দরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্রদের মিলন মেলার নামে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা ভন্ডুল হয়ে গেছে।
ব্ল্যাকবোর্ড নামে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে অনুষ্ঠান বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান অনুষ্ঠান বাতিলের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, প্রাক্তন ছাত্ররা “ব্ল্যাকবোর্ড” এর ব্যানারে মিলনমেলার অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী বিকেলে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী এ অনুষ্ঠানের অতিথিসহ আয়োজকদের নিয়ে চরম বিতর্ক রয়েছে। এমনকি মিলনমেলার আড়ালে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।এমন তথ্যের ভিত্তিতেই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বি বলেন, এ অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়েছে কিন্তু আমি তা জানতাম না যে আড়ালে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে।
গোয়েন্দাসূত্রে জানা গেছে, ব্ল্যাকবোর্ড অনুষ্ঠানটির অতিথিসহ প্রধান কয়েকজন আয়োজক পরশ, আতিক মানিক, দুর্লভ, ডাঃ আমির হোসেন, ডা: আল আমিনসহ কয়েকজন ওসমান পরিবারের দোসর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের লোক।
এ ঘটনা জানতে চাইলে আয়োজক পরশ বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু কোনো অপরাধ করেন নি। তবে একটা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা ও শিক্ষক সন্মানা অনুষ্ঠানটি কি কারণে বন্ধ করা হয়েছে তা জানেন না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পরশ মহানগর আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ইশরাত জাহান স্মৃতির আপন ভাই।ইতিপূর্বে তিনি সেলিম ওসমানের আশীর্বাদে বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে অভিভাবক সদস্য মনোনীত হয়ে প্রায় লাখ লাখ টাকা আত্নসাত করেন।
অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতার আন্দোলনে শামীম ওসমানের অনুসারী পরশ ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়।









Discussion about this post