আদালতে নিজের পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় পলক নিজেই নিজের রিমান্ড শুনানিতে বলেছেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা ছিলাম না।’
সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আদালতে দাড়িয়ে উল্লেখিত কথা বলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে রিমান্ড শুনানীরকালে পলক আদালতকে এমন কথা বলেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আরো দুইটি হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের আদালতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর কাইয়ুম খান রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় স্বজন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৫ দিন ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আহসান কবির শরিফ এবং সোনারগাঁওয়ের হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিন করে রিমান্ড প্রার্থনা করে আদালতে উপস্থাপন করা হয় পিলক কে । পলকের পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় নিজের পক্ষে নিজেই আদালত কে অবহিত করার পর প্রত্যেক মামলায় আদালত ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, আদালতে শুনানীর সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজেই শুনানিতে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্ধ করেছিলো। বরং ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমার সমর্থন ছিলো। ওই সময় কেবিনেট সভায় এটা সংস্কার করা হয়েছিলো। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে এগুলো সব মিথ্যা।’
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, আদালতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। তিনি নিজেই শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। জুনায়েদ আহমেদ পলক আদালতে বলেছেন ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। আর পলকের এমন মন্তব্যের পর আমরা আদালতকে বলেছি এটা তার জবানবন্দি হিসেবে গ্রহণ করার জন্য। আদালত পলকের এই বক্তব্য জবানবন্দি হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।









Discussion about this post