‘সরকার পতনের আগে ৩ আগস্ট শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের সাথে সভা করেছিলো। সেখানে অনেকেই বক্তব্য বলেছে, শেখ হাসিনার মরলেও নাকি তার সাথে আছে। অনেকে আবার বলেছে আমরা আপনার সাথে থাকতে চাই। সেই বক্তব্য দেওয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এখনো ভাঙ্গা হয়নি। তাদের কেউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যতদিন আপনারা সেই সবার বক্তব্য শুনে, তাদের সিন্ডিকেট না ভাঙ্গবেন তাদের গ্রেফতার না করেছেন ততদিন এই দ্রব্যমূল্য কমবে না। এই নারায়ণগঞ্জে অনেক কুলাঙ্গার আছে, যারা এখন ঘরে বসে আছে। আর ভারত থেকে নির্দেশ আসলে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাজ করে। ওরা বলে নির্বাচনের কথা যারা বলে তারা নাকি জাতির শত্রু।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়ায় জেলা বিএনপির জণসভায় যোগ দিয়ে এ কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনা ১৫ বছর থেকেছিল, আপনারাও থাকেন, দেখেন পারেন কিনা। মানুষ স্বাধীন ভাবে কথা বলতে চায়। যারা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাচ্ছেন, তাদের এই চাওয়া উদ্দেশ্যমূলক। তাদের এই উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্রমূলক। দেশে এখন অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আর এই ষড়যন্ত্র হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য। গ্রামে গঞ্জে অনেকের পায়ের তলার মাটি নেই, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে তারা পায়ের তলার মাটি করতে চাচ্ছে। আমরা আন্দোলন লড়াই করেছি গণতন্ত্র ও সংসদ নির্বাচনের জন্য। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য লড়াই করিনি। ঘোড়ার আগে গাড়িতে উঠতে হয় না।
তিনি বলেন, এখন অপকর্ম যেই করুক না কেন, নাম হচ্ছে বিএনপির। বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে কিছু দল বা মানুষ হিংসা করে বিএনপিকে দুর্নাম করার চেষ্টা করছে। বিএনপি ভারতেই তাবেদারী করে না। বিএনপি নির্দোষ দল না, লক্ষ্য লক্ষ্য নেতাকর্মীকে মধ্যে একজন খারাপ হতে পারে। কিন্তু তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আপনারা আমাদের তথ্য দেন, যদি কারো বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে আমি মির্জা আব্বাস কথা দিচ্ছি সে বিএনপিতে থাকতে পারবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীবের সঞ্চালনায় বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহম্মেদ টিুট, কেন্দ্রীয় সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল, সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সোনারগাঁ বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, রেজাউল করিম, কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ’আওয়ামীলীগের সময় আমি এই নারায়ণগঞ্জের মিটিং করতে এসেছিলাম। আমার নেতাকর্মীরা অনেক ভয়ে হলেও নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে বসার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আজ কোনো ভয় ছাড়াই এই লাখো মানুষের মাঝে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। প্রথমে আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে পরে জাতির মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে। ৭১ সালে আমরা অনেক কষ্ট করে স্বাধীন করেছি। দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নাই, স্বাধীন হয়েছি ৭১ এ। আমরা বাংলাদেশকে পরপর ২ বার স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। প্রথমে এরশাদ পরে শেখ হাসিনাকে পতন করিয়েছি। কেউ ২য় স্বাধীনতা বলবেন না। এতে স্বাধীনতাকে ও সেই শহীদদের ছোট করা হয়, আপনারা স্বৈরাচারের পতন বইলেন।’









Discussion about this post