নানা অপরাধের পর এবার নারায়ণগঞ্জ থেকে পলাকত জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ সিকদারের নেতৃত্বে ডাকাত দল মাদারীপুর-শরীয়তপুর দুই জেলার সীমানায় খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দরে ডাকাতি করার সময় স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছে।
ওই ঘটনায় ডাকাতদের ছোরা গুলিতে দুই জেলায় অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আর এই ডাকাতির ঘটনায় পালানোর সময় ৭ জন ডাকাতকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌপথে ডাকাত সর্দার সবুজ সিকদার ও তার সহযোগি চুন্নু, এ ছাড়াও মুন্সিগঞ্জের মহেষপুর এলাকার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে রাকিব গাজী (৩৮), একই জেলার কালিরচর এলাকার বাচ্চুর ছেলে রিপন (৪০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুণ্ডেরচর এলাকার মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে আনোয়ার দেওয়ান (৫০) ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার হারুন তালুকদারের ছেলে সজিব তালুকদার (৩০) ।
জানা যায়, শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির চেষ্টার সময় গণপিটুনির শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন জনে।
শনিবার ১ মার্চ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ডাকাতদের সঙ্গে থাকা পালং মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায় নাই।
ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট জনকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
এদের মধ্যে রিপন ও সজিব তালুকদার গণপিটুনির শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অজ্ঞাতনামা আরও এক ডাকাত সদস্য।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করেন। পরে তাদের ধাওয়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এসময় ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করে। এসময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হন বেশ কয়েকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় সাতজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। ডাকাতদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরে আহত বাকি পাঁচ সদস্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক ডাকাতের মৃত্যু হয়।









Discussion about this post