অসংখ্য হত্যা মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগের নামধারী নেতা শরীফ হোসেন ওরফে মাদক শরীফ কে এবার গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাবের হাতে আটকের পর আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করার পর নানাভাবে জামাই আদরের ব্যবস্থা করে চিহ্নিত অসাধু চক্র।
অপরদিকে শরীফের গ্রেফতারের সংবাদে কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে এলাকাবাসী মাঝে।
এর পূর্বে গত ৬ অক্টোবর (রোববার) দুপুর ১ ঘটিকার সময় নয়ামাটি এলাকা হতে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই রফিক ও এসআই সুজন ফকিরের নেতৃত্বে পুলিশ গ্রেফতার করে।
শরীফের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা, মাদক, চাঁদাবাজি,ভূমদস্যুতার কার্যকলাপের অভিযোগে বিভিন্ন মামলা থাকার পরও পুলিশ আইনের ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানোর পর সাথে সাথেই জামিনে মুক্তি পায় কুখ্যাত এই অপরাধী।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে আন্দোলনকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করে হত্যা করায় ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় শরীফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার পরও প্রকাশেই ঘুরে বেড়াতো শরীফ, আর তার অপরাধ সাম্রাজ্য চিরো চলমান।
ফতুল্লা থানা যুবলীগের নামধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী শরিফ নিজেকে রক্ষাতে ৫ আগস্টের গুলিবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের পরে ভোল পাল্টে বিএনপির নেতা বনে যাওয়ার অপচেষ্টা চালায়।
এমনকি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের ফতুল্লা থানা কমিটির আহবায়কের পদ কিনে নেয়।
তাতেও শেষ রক্ষা হলো না যুবলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী শরীফ ওরফে মাদক শরীফের।
আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ নামে বিএনপির কোন অঙ্গসংগঠন নেই বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড আব্দুল বারী ভূইয়া। তিনি আরো শরীফ হচ্ছে আওয়ামী লীগের অনুচর।
শরীফকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।









Discussion about this post