ফ্যাসিস্ট সরকারের গডফাদার শামীম ওসমান ও ওসমান পরিবারকে উদ্দেশ্য করে গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, “প্রশাসনকে ব্যবহার করে অর্থ সম্পদ লুন্ঠন করেছে ওসমান পরিবার। সরকারের কাছ থেকে উন্নয়নের নামে অনুদান এনেছেন । সেই টাকা কোথায় গেলো ? সরকারের কাছ থেকে টাকা এসব মেরে খেয়েছেন, বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। বিদেশে পালিয়ে গেছেন । আপনিও চোর, আপনার ছেলে চোর, মেয়ে চোর, বউ চোর আপনিও চোর, আপনার পরিবারও চোর।”
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকায় ফতুল্লা থানা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন ম,ন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করতে ২০২৩ সালে তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ২৩ দফা কর্মসূচি দেন। পরবর্তীতে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়, তখন সবাই সংস্কারের দাবি তোলে। কিন্তু আপনি দেখবেন, তারেক রহমান যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন, সেখানে রাষ্ট্র মেরামতের সমস্ত কর্মসূচি রয়েছে। তারেক রহমান যা আগে ভাবেন, অন্যরা তা পরে দাবি করে । বিএনপি দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভাবে, কীভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় তা চিন্তা করে। বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যারা আপনার ক্যাবিনেটে আছে, তাদের অনেকের লোভ থাকতে পারে। তারা আপনাকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকতে চাইতে পারে। তবে আপনি সেই লোভে পা দিবেন না—এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আপনি নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন, আমরা সেই অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেব।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বারী ভূইয়া।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এস.এম. আসলাম, জি.এম. সাদরিল, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. খন্দকার আক্তার হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেন, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাঈনুল ইসলাম রতন, এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জেলা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব কায়সার রিফাত, কুতুবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মেম্বার এবং নাছির প্রধানসহ অনকের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে গিয়াস উদ্দি;ন আরো বলেন, “আমরা যখন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তখন দেখেছি তারা কতটা হিংস্র। মিথ্যা মামলা দিয়ে কীভাবে খালেদা জিয়াকে নয়তলা ভবনে ওঠানামা করিয়েছেন। অথচ তিনিই ড. ইউনুসকে সম্মান দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ তিনিই করেছিলেন। আজ সেই ইউনুস রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে রয়েছেন। আমরা তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—আপনাকে যারা প্রস্তাব দিয়েছে, তারা ছিল অল্প; কিন্তু জনগণ আপনাকে সম্মান করেছে। শুধু শেখ হাসিনা ও তার দোসররাই এতে অখুশি হয়েছে।”









Discussion about this post