পরকীয়ার জের ধরে বন্দরে পিকআপ চালক শহিদুল ইসলাম রাহিম মিয়া (২০) কে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের মা।
১১ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাতে বন্দর থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন :. ইকবাল হোসেন (২৫), সালাউদ্দিন (৪৫), সৃষ্টি আক্তার (৩৮), হাসিব (২০), হিমেল (২১), মাকসুদ (২২), আমজাদ হোসেন (২৫), জামান (২৮), রহমত আলী (৪৫), হাবিব উল্লাহ (৩০) ও বাধন (২৫)।
শহিদুল ইসলাম ওরফে রাহিম (২০) পেশায় ছিলেন পিকআপ চালক। বন্দর উপজেলার বারপাড়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাবিবুর রহমানের পুত্র।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বারপাড়া এলাকায় অভিযুক্ত ইকবালের বাড়িতে নির্মম নির্যাতন করে।
জানা যায়, ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে রাহিম বাসায় থাকাবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মা দোকান থেকে ফিরে ছেলেকে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করেন।
তখন রাহিম তার মাকে জানান, তিনি আসতেছেন। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে স্থানীয় এক নারীর কাছ থেকে ফোন পেয়ে রাহিমের মা, বোন এবং স্ত্রী মিলে বারপাড়ার ইকবালের বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান, রাহিমকে মাটিতে ফেলে নির্যাতন করতেছে সালাউদ্দিন, তার হাতে থাকা ইট দিয়ে রাহিমের মাথায় একাধিকবার আঘাত করে।
এছাড়া এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি সৃষ্টি আক্তার তার পেটে লাথি মারতে থাকে। অন্যান্য আসামিরা লাঠি দিয়ে রাহিমের শরীরে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। রাহিমের মা বারবার অনুরোধ করলেও আসামিরা হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সাদা কাগজে সই ছাড়া তাকে হাসপাতালে নিতে দেওয়া হবে না বলেও জানায়।
এমন খবরে পুলিশ এসে রাহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাহিম মৃত্যু বরণ করে।
এমন ঘটনার সম্পর্কে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, মামলার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।









Discussion about this post