কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করে বিএনপি ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সেই যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ সকালে উক্ত ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফতুল্লা আমলি আদালতে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান বাবু।
আইনজীবী সরকার হুমায়ুন কবির বাদী পক্ষের হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদের এর আদালতে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করলে শুনানীর পরবর্তীতে আদালত জুয়েল রানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে আদারতে দাঁড়িয়েছি। আমার সাথে অনেকেই দাঁড়িয়েছেন। আদালতের বর্তমানে উপস্থিত আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা এটা শুনে নিন্দা জানিয়েছেন । অনেকেই বলেছেন, এমন করাটা ভাল কাজ নয়, এটা মেনে নেয়া যায় না। ভিডিওটি জজ সাহেবকেও দেখানো হয়েছে। ভিডিও দেখে তিনি গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছেন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েতনগর বিএনপির এক সময়ের যুবদল নেতা পরবর্তীতে ইউনিয়নের যুবলীগের লেবাসে নানা অপরাধমসূলক কর্মকান্ড চালায় জুয়েল রানা। এই জুয়েল রানার একটি ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে বিএনপি ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ও জাইমা রহমাকে গালি দিতে দেখা গেছে। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে এলাকায় থাকলেও এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে সেই জুয়েল রানা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোমবার (১৬ জুন) ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। জুয়েল রানা এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ধর্মগঞ্জ মজিদ কন্ট্রাক্টর রোডের বাসিন্দা মৃত নাছির উদ্দীন সর্দারের পুত্র।
বিএনপি ও দলটির শীর্ষ নেতাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এক সময়ের এনায়েত নগর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলো এই জুয়েল রানা। পরবর্তীতে যুবলীগে নাম দিয়ে ব্যাপক তান্ডব চালায় ফতুল্লায়। এ সময় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তার মেয়ে জয়মা রহমানকে নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন জুয়েল। ওই সময় ভিডিওতে নিজ এলাকায় কেউ বিএনপি করলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুঁশিয়ারিও দেন জুয়েল। একই সঙ্গে নিজেকে তৎকালীন এমপি শামীম ওসমানের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দাবী করেন জুয়েল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এতদিন যাবৎ নিজ এলাকাতেই ছিলো জুয়েল রানা।









Discussion about this post