সোনারগাঁয়ের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকা থেকে দুইজন যুবককে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৩ জুন) রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। অপহরণের ঘটনায় অপহৃত যুবকের বড় বোন রেখা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগে পাঁচ অপহরণকারী হলো : সনমান্দি ইউনিয়নের কুমারচর এলাকার জজ মিয়ার পুত্র মো. স্বাধীন মিয়া, ভাটিরচরের আলমগীর হোসেনের পুত্র ফয়সাল মিয়া, নাজিরপুর এলাকার আক্কেল আলীর পুত্র রাব্বানী হোসেন মুন্না, বন্দর উপজেলার ছোটবাগ গ্রামের আসাদুজ্জামানের পুত্র মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া গ্রামের নান্নু মিয়ার পুত্র রাশেদ ওরফে রাসেল।
জানা যায়, কুমিল্লার দাউদকান্দির ময়নামতি মীরপুর গ্রামের মো. ফিরোজ মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া ও তাঁর বন্ধু মৌলরদী গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে শাওন মিয়া গত রোববার বিকেলে মোটরসাইকেলে করে বালু ব্যবসার কাজে দড়িকান্দি এলাকায় আসলে সেখানে চার থেকে পাঁচজন সশস্ত্র যুবক তাঁদের গতিরোধ করে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যান এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়। অপহরণকারীরা তাঁদের সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে দুই দফায় ২৫ হাজার টাকা পাঠায়।
সোমবার ২৩ জুন রাত ১১টায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় স্বাধীন মিয়া ও ফয়সাল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত ফয়সাল ও স্বাদীনের ভাষ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে অপর তিনজন অপহরণকারী রাব্বানী, সাজ্জাদ ও রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন জানান, ‘অপহরণ করে দুই যুবককে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’









Discussion about this post