দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বাদীপক্ষকে ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল।
এমন হুমকির ধারাবাহিকতার পর শুক্রবার ২৭ জুন রাতে ওই মামলার বাদী পরিবারের একজন সদস্য মো. রাশেদকে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাগানবাড়িতে আটকে নির্যাতন চালায় ওই দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার আসামী ও তাদের সহযোগীরা।
অপহৃত এই ব্যবসায়ী রাশেদকে নির্যাতন ও মারধর করে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় স্বজনরা জরুরি নাম্বার ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সাহায্য নেয়।
আরভেই অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যৌথ বাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ২৭ জুন রাতে এ ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী সাব্বির হোসেন (৩১), শান্ত (৩৩), মো. রনি মিয়া (২৬), রাসেল মিয়া (৩১), রনি (২৫), ও শিমুল ওরফে শিবলু (২৮) কে আটকের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে মামলার সাক্ষি ব্যবসায়ী রাশেদকে। গ্রেফতারকৃত সবাই রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলানাথপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
উদ্ধার হওয়ার পর অপহরণের শিকার মো. রাশেদ জানান, ২০১৮ সালে আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে সূর্বনাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনার বিচার চেয়ে আমরা মামলা করি। কিন্তু মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। শুক্রবার দুপুরে পূর্বাচলের অফিস থেকে আমাকে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাগানবাড়িতে নিয়ে যায় ওই আসামী আর তাদের লোকজন। সেখানে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তারা ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে। এমন ঘটনা আমার পরিবার বিষয়টি জরুরি নাম্বার ৯৯৯ ফোন দিয়ে জানালে অপহরণকারীরা পরিস্থিতি আঁচ করে আমাকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থানায় সোপর্দ করতে চাইলে পুলিশ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তাদের আটক করে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, যুবদল নেতা রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি দল শুক্রবার দুপুরে রাশেদের অফিসে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে ভিকটিমকে উদ্ধার করি এবং ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করি।
ওসি তরিকুল ইসলাম আরো জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের আলোচিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অপহরণ ও মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।









Discussion about this post