ফতুল্লায় তিতাস গ্যাস চুরির অভিযোগে মিজান নামের এক যুবককে গণধোলাইয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আজ শনিবার (২৮ জুন) বিকালে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মিজান নামক ওই যুবককে স্থানীয় নারীরা জুতা দিয়ে পেটাচ্ছেন এবং অন্যরা এলোপাতারি মারধর করছেন। এ সময় মিজান আর কোনো দিন অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিবেন না এবং গ্যাস অফিসের কথা বলে বিল আদায় করবেন না বলে ক্ষমা চাইছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগিরা জানান, গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে গ্যাস অফিসের নামে বিল আদায় করেন এই মিজান। যারা বিল দিতে সময়ক্ষেপণ করেন তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাইজার নিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার ২৫ জুন দুপুরে ফতুল্লার কুতুবপুর নন্দলালপুর খালপাড় এলাকায় লোকজন নিয়ে একাধিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন মিজান। আর এতেই এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানকে আটক করে গণধোলাই দিলে সে ক্ষমা চায়। ঘটনার সময় মিজানের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যান। নারীদের জুতাপেটার শিকার হয়ে মিজান নাকে খত দিয়ে এলাকাবাসীর হাত থেকে মুক্তি পান।
নারীদের হাতে জুতাপেটাসহ এলাকাবাসীর লাঞ্চনার শিকার হয়ে মিজান জানায়, নারায়ণগঞ্জের গ্যাস চুরির সঙ্গে জড়িত গলাচিপা এলাকার কামাল, সোহেল, সুমন, বেসলাইট সোহেল, চাষাঢ়ার রিংকু, ডন চেম্বারের আনোয়ার হোসেন আনু, কায়েমপুর এলাকার সুমন, লামাপাড়া এলাকার রবি, সানাল, পাগলা এলাকার সাইফুল, গোদনাইল এলাকার রিংকু আক্তার, রুমা আক্তার, তল্লা এলাকার রনি, কাশিপুর এলাকার মীর হোসেন, মহিউদ্দিন, ইসদাইর এলাকার কাইল্লা সোহেল,পঞ্চবটি এলাকার বেকারী সুমন, বেকারী সাইদ, রাজ, নয়ামাটি এলাকার হানিফ, মিশনপাড়া এলাকার বাগান দুলাল, জামলাতলা এলাকার সামসুল মিয়া, দাপা আদর্শ স্কুল এলাকার সেন্টু, কাঠেরপুল এলাকার জুয়েল, লুঙ্গি দুলাল, সস্তাপুর এলাকার দরবেশ মোজাম্মেল, পূর্ব নয়ামাটি ইসলামনগর এলাকার আশোক আলী, জনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কাছ থেকে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবে। বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহারর করে এই গ্যাস চোরদের আটক করলে নারায়ণগঞ্জের গ্যাস চুরি বন্ধ হবে বলেও জানায় জুটাপেটা ও ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পাওয়া মিজান।
জুতাপেটা ও গণপিটুনির শিকার হয়ে মিজান আরো জানায়, ফতুল্লার আঞ্চলিক অফিসের সকলে এই গ্যাসচোরদের চুরির কাজে নিয়োজিত করে। আর ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মশিউর স্যার তো সকল চোরদের সর্দার। লুটপাট কইরা হাজার কোটি টাকার মালিক এই মশিউর।
এমন অভিযোগের বিষয়ে তিতাস গ্যাস ফতুল্লা আঞ্চলিক অফিসের ম্যানেজার প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, মিজান তিতাস গ্যাস অফিসের এরা কেউ না। তাকে কুতুবপুর এলাকায় যখন এলাকাবাসী আটক করেছে তখন আমাকে অনেকেই ফোন করে জানিয়েছেন। তাকে পুলিশে সোর্পদ করতে বলেছি এবং আরও যারা অন্যান্য এলাকায় এ ধরনের গ্যাস চোর আছে তাদেরকেও যেনো আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী ।
তবে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, মিজান নামে কাউকে এলাকাবাসী পুলিশে সোর্পদ করে নাই অথবা কেউ অভিযোগও করেন নাই।









Discussion about this post