সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগ নেতাদের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের দুইজন নেতা আহত হয়েছে।
শুক্রবার ২৭ জুন রাতে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির নেতৃত্বে এ হামলা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত দুইজনকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে আহত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. ফারুক বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. ফারুক ও মো. সাগর লাধুরচর এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে প্রচারপত্র বিলি শেষে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে চৌরাপাড়া কাঠ ব্রীজ এলাকায় আগে থেকে উৎপেতে থাকা নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকারে নেতৃত্বে মো. সাব্বির হোসেন, মো. নয়ন, সাইফুল ইসলাম, রাকিব হোসেন, আকতার হোসেন, মো. বাচ্চু মিয়া, আতাউর রহমান, ফিরোজ মিয়া, মো. বাবুল মিয়া ও মোক্তার হোসেন দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
উল্লেখিতদের হামলায় মো. ফারুক ও মো. সাগর আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাগরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে হয়।
আহত ফারুকের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চৌরাপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে হামলাকারীরা। তাদের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় তারা হুমকি দিয়ে আসছে। গত শুক্রবার রাতে ৩১ দফার প্রচার শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে শহিদুল্লাহ সরকারের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় তারা দু’জন আহত হন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকার জানান, “এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। আমি এলাকায় থাকেন না। বর্তমানে অসুস্থ্য। আওয়ামীলীগ পতনের পর থেকে এলাকায়িআসা হয় না। তবে এলাকার দুই ছেলের সঙ্গে তাদের (স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা) মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। সেখানে আমাদের নাম জড়িয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।”
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।









Discussion about this post