সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই তেলের আস্তানায় যৌথ বাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাড়িপাড়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদারতের এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা।
ভভিযানকালে মো. আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন পদ্মা পিএলসি তেলের দোকানে অভিযান চালিয়ে ১০০ লিটার অকটেন, ১০৮০ লিটার ডিজেল ও একটি বিক্রয় রশিদ বই জব্দ করা হয়। এছাড়া ফার্মেস ওয়েল ৬০০ লিটার জব্দ করা হয়।
এই অভিযানে ২ জনকে ১৪ হাজার টাকা নগদ জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব-১১, বিজিবি এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন এই অভিযানে।
এমন অভিযানের পর এলকাার অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মা ও মেঘনা অয়েল ডিপোকে ঘিরে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের বার্মাশীল ও এসও রোড এলাকায় গড়ে উঠেছে চোরাই তেল সিন্ডিকেট চক্র। আর এই সিন্ডিকেটের সকলেই আঙ্গুল ফুলে করাগাছ বনে গেছে। বিমানের জ্বালানি তেল জেট-ওয়ান, অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস ও জিওবি তেল প্রকাশ্যে চুরি করে বিক্রি করছে তারা। এভাবে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার তেল চুরি করলেও পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই। এই তেল চুরি করে বার্মাশীল ও এসও রোড এলাকার শতাধিক তেলচোর কোটিপতি হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তেল চুরি ব্যবসা ছেড়ে বেছে সরকার পরিবর্তনের পর গাঢাকা দিয়েছেন । এদের মধ্যে অন্যতম তেলচোরদের গডফাদার অকিল ভূইয়া, মতি, আশরাফ, সিরাজ ভান্ডারী, মেহদিসহ অসংখ্য তেলচোরদের হোতারা নানা পন্থায় এখনো মেঘনা ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির নামমাত্র এজেন্টশিপ ও ডিলারশিপ নিয়ে এখনও অনেকেই চোরাই তেলের ব্যবসা করছে। এতো বড় ধরণের চোরাই তেলের রাঘববোয়ালদের এখনো সুরক্ষা দিচ্ছে কারা ? রাঘববোয়ালরা সুরক্ষিত থাকছে আর চুনোপুটিদের আটক করে কি বোঝানো হচ্ছে ? সাধারণ মানুষ এমন অভিযানে কি ধারনা নিচ্ছে । আইনশৃংখলা বাহনীর স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে ওই রাঘব বোয়ালদের আটক করা জরুরী যারা সারা দিন ডিপোর ভিতরে জ্বারানী তেল কম দিয়ে রাতের আধারে চোরাই তেল বিক্রিসহ নানাভাবে চোরাই কর্মকান্ড করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন তাদের আটক করলে সর্বসাধারণের সাধুবাধ পাবেন আইনশৃংখলা বাহিনী । এমন মন্তব্য করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জের অনেকেই।









Discussion about this post