গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর বন্ধন পরিবহন ও বাস টার্মিনাল দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দুই পক্ষই অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা রাসেলকে আসামি করলেও এখনো রয়েছে সেই কুখ্যাত অপরাধী রাসেল দুই পক্ষের আসামী হয়েওে রয়েছে অধরাই। পুলিশের খাতায় পলাতক হলেও ১৮ জুলাই শুক্রবার এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর সাথে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রাসেলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে নগরীজুড়ে।
যে রাসেল হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল এবং লাখ লাখ পিছ ইয়াবার পাইকারী ডিলার হিসেবে পরিচিত। এই রাসেল নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা পরিচয় দানকারী ও মাদক ডিলার ডিব্বা হালিমের অত্যান্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সামনে হাতে অস্ত্র নিয়ে এই রাসেলের গুলি করার ঘটনায় এখনো আতঙ্ক রয়েছে নগরবাসীর মাঝে।
জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের ১ নং রেলগেইট এলাকার কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৮ জনকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও গত প্রায় এক বছরে অস্ত্রধারী অভিযুক্ত সেই রাসেলকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সূত্র জানায়, অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা ওই যুবকের নাম রাসেল। বাড়ি ফতুল্লা থানার মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায়। ৬ বছর পুর্বে ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে প্রায় ২ হাজার ৪ শত বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে এখন আর কাউকেই ঘোনায় ধরে না এই রাসেল । কারণ রাসেল জানেন কি করে কাকে কত টাকায় ম্যানেজ করতে হয়।
থানায় তার নামে একাধিক মাদক মামলা থাকার পরও পুলিশের সাথে প্রায়ই সখ্যতার দৃশ্য দেখে হতাবাক হয়েছে এলাকার অনেকেই। তা ছাড়া সবসময় নিজের সাথে একটি অস্ত্র ও চাকু রাখতো বলে এলাকায় চাক্কু রাসেল হিসেবেও সকলেই রাসেলকে চিনেন।
নগরীর ২নং এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, রাসেলের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রায় প্রতি রাতেই অস্ত্র নিয়ে ঘুরে প্রকাশ্যে। কে রাখে এই খবর ! প্রায়ই দেখা যায় পুলিশের কোন কোন দারোগা দলবল নিয়ে হোটেলে খাবার খেতে আসলে এই রাসেল প্রায় প্রতি রাতেই সেই পুলিশদের খাবারের বিল দিয়ে দেয় । আবার আড়ালে আবডালে গোপন আলোচনাও করে। এমন দৃশ্য দেখার পর এই অস্ত্রধারীদের বিষয়ে কার এতো সাহস আছে মুখ খুলে অপরাধীদের প্রতিবাদ করার। আর এই রাসেলসহ কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের পুরো বাহিনী মূলতঃ সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের সমর্থক ও কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে শহরজুড়ে আজমেরী ওসমানের কায়দায় তান্ডব চালাচ্ছে। আর তাদের সাথে কয়েকজন নামধারী বিশেষ পেশার লোকজনকেও দেখা যায় সারারাত মটর সাইকেল মহড়ায় অংশ নিতে। শুনেছি দেওভোগ, মাসদাইর, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে মাদক ব্যবসা, জুয়া ও চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে এই রাসেল।আর ওই বাস টার্মিনালে অস্ত্র হাতে গুলি করার ঘটনার পর আর রাসেরকে পিছু তাকাতে হয় নাই। সকলেই তাকে খুব ভালো করে চিনেন।









Discussion about this post