নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সড়কের পাশ থেকে সুমন খলিফা (৩৫) নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে মধ্য নরসিংপুর এলাকার হারুনের পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে আধাপাকা রাস্তার ধার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
গান করতে বের হয়ে আর ফেরেননি
নিহত সুমনের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলায়। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের সঙ্গে বসবাস করতেন। সোনিয়া স্থানীয়ভাবে পরিচিত সংগীতশিল্পী।
পুলিশ জানায়, রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে সুমন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনে যান। রাতের কোনো একসময় সুমন অনুষ্ঠানস্থল থেকে বাইরে বের হন। এরপর আর ফেরেননি।
সকালবেলায় স্থানীয়রা রাস্তার পাশে তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
ক্ষতবিক্ষত দেহ, হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) হাসিনুজ্জামান জানান, মরদেহে গভীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পরে মরদেহটি সেই রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্ত্রীর বক্তব্যে নতুন প্রশ্ন
সুমনের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার পুলিশকে জানান—
গান পরিবেশনের সময় সুমন হঠাৎ অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যান। এরপর তিনি ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া পাননি।
পুলিশ সোনিয়ার বক্তব্য, অনুষ্ঠানস্থলের সময়সীমা, সুমনের ফোন রেকর্ড ও তিনি কার সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন—এসব দিকও যাচাই করছে।
হত্যাকাণ্ডের পেছনে সম্ভাব্য কারণ ও তদন্তের দিক
তদন্ত–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, প্রাথমিকভাবে তিনটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে—
1. ব্যক্তিগত শত্রুতা বা পূর্বের কোনো বিরোধ
2. আর্থিক লেনদেন–সংক্রান্ত বিষয়
3. অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়ার পর কারা তার সঙ্গে যোগাযোগে এসেছিল
তবে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো কারণ নিশ্চিত করেনি।
পুলিশ বলছে, দ্রুত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন—“যে–ই জড়িত থাকুক, খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার সময়সীমা, সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ট্র্যাকিং—সবগুলো মাধ্যমে আমরা কাজ করছি।”







Discussion about this post