সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
এবার জমি দখল নিতে সহপাঠিকে মারধর করলেন নাসিক সিদ্ধিরগঞ্জের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক।
বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনুহাজী রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় বাধা দিতে এসে মাসুম রানা ও তার ভাই হাফেজ মাওলানা আব্দুল মমিনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আহতরা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে মুঠো ফোনে জানিয়েছেন মাসুম রানা।
নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক ও আহত মাসুম রানা সহপাঠি। তারা একসাথে প্রাথিমক বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেছেন বলে জানিয়েছেন মাসুম রানা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ কামরুল ফারুক জানান, থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক মাসুম রানা জানান, তারা ওয়ারিস সূত্রে মালিক হইয়া দীর্ঘ দিন যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। ৫ শতাংশ জমি নিয়া তাদের মধ্যে বিরোধ। এ বিষয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা (নং- ১১৩/২০১৮ইং)। মামলাটি এসিল্যান্ড অফিস তদন্ত করছেন।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর এসিল্যান্ড সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব শাখার সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন, অফিস সহকারী সৌরভ, আমিন ও সুমন তদন্ত করতে সরেজমিনে আসেন।
খবর পেয়ে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুকের নেতৃত্বে শতাধিক লোক নিয়ে হাজির হন জমিতে। এসময় কাউন্সিলর ওমর ফারুককে দেখে মাসুম রানা ছালাম দিয়ে কেমন আছো জানতে চাইলে, তাকে নগ্ন ভাষায় গালি দিয়ে মারধর শুরু করে। এসময় কাউন্সিলর ওমর ফারুকের সাথে লোকজনও তাকে লাঠি সোটা দিয়ে মারধর করতে থাকে। আহত মাসুম রানাকে বাচাতে এগিয়ে আসলে তার ছোট ভাই হাফেজ মাওলানা আব্দুল মমিনকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
কাউন্সিলর ওমর ফারুক মাসুমকে এই জমি ছেড়ে চলে যেতে বলেন, প্রয়োজনে এই জমি নিয়ে লাশ ফেলে দেওয়া হবে। অন্যথায় তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেন বলে মাসুম রানা জানান। ঘটনার পর প্রাণ ভয়ে পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাসুম রানা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখন অসুস্থ্য চিকিৎসা নিচ্ছি। সুস্থ্য হয়ে অভিযোগ করবো।
এবিষয়ে কাউন্সিলর ওমর ফারুকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ্য। ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ধরনের ঘটনাই ঘটেনি।









Discussion about this post