ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার পর শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি এটিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছি না। এও বলছি না, এটা নাশকতা।
২০০১ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। কিছুদিন আগে হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদি নির্গত গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে মসজিদের ভেতরে এই ধরনের ভয়াবহতা হতে পারে কিনা- সেটি আমার প্রশ্ন।
শুক্রবার মসজিদটিকে অন্য কিছু ঘটেছে। এ ঘটনায় আমি হাইপ্রোফাইল তদন্ত দাবি করছি।’
শামীম ওসমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এলাকার মানুষ অভিযোগ করছে বেশ কিছুদিন ধরে মসজিদের ভেতর দিয়ে গ্যাস লিক হচ্ছিল। মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার দাবি করেছিল। কিন্তু তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। এমনটি হয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমি কোনো এক্সপার্ট না। সে কারণেই আমি এক্সপার্টদের দিয়ে গভীরভাবে তদন্তের কথা বলছি। এটা এসির বিস্ফোরণ কি না সেটাও তদন্ত করা উচিত। তবে সচরাচর এসির গ্যাস সিলিন্ডার থাকে বাইরে। সেটা ভেতরে বিস্ফোরণের কথা না। এছাড়া গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে। যদি মসজিদের ভেতরে এতই গ্যাসের রিজার্ভ থাকতো তাহলে সেটা তো মাগরিবের সময়ে কিংবা এশার আগে দরজা খোলার কারণে বের হয়ে যেত।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এশার জামাত শেষ হওয়ার পর তল্লা এলাকার সবুজবাগে বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩৭ জন গুরুতর দগ্ধ হন। তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর দগ্ধদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ।









Discussion about this post