বন্দর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় চেয়ারম্যান ও শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম ব্যবহার করে কি পরিমাণ অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে তা ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতেও সাহস করে না । অপরাধ সাম্রাজ্য চালানোর পাশাপাশি একেকজন চেয়ারম্যান / ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন নেতাদের ঘনিষ্ঠ অনেক চেলা চামুণ্ডারা নিজ নিজ এলাকার নিজেরাই রাজা – বাদশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে ।
যেমন সাম্প্রতিক সময়ে চাঞ্চল্যকর তিতাস ট্রাজেডির পর আরো পরিস্কার হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় কি পরিমাণ অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে শাসক দলের প্রভাবশালী নেতারা তার একটি চিত্র প্রকাশ করেছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু । তিনি নিজেও অসহায়ত্বও প্রকাশ করেছেন । তাই এমন ঘটনায় প্রমাণ করে একেকজন অসাধু চেয়ারম্যান কতটা ভয়ংকর অপরাধের সাথে যুক্ত থাকতে পারে আর এই মারধর হামলা তো সামন্য বিষয় বলে মন্তব্য করেছে নারায়ণগঞ্জ আদালতের কয়েকজন আইনজীবী !
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর, লুটপাট ও মারধরের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ সহ ৮জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ”ঘ” অঞ্চলে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সি. আর মামলা নং ১০০/২০।
৮সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পিবিআই এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক শাকিল আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (পিবিআই) এসআই শাকিল বলেন, মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি চেয়ারম্যান মাসুম আহমদ ও তার ছেলে, ভাতিজার নামে বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আমি মামলাটি তদন্ত করছি। গত মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাদীকে মারধর করেছে তার রক্তমাখা জামা কাপড় আমরা পেয়েছি।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে এগুলো নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট নেওয়া হবে। আমি এ বিষয়ে মাসুম চেয়ারম্যানকে নোটিশ পাঠিয়েছি। তিনি আমাকে বলেন করোনায় লকডাউনের সময়ে সকলকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু মজিবুর রহমান দোকানের সামনে আড্ডা দেয়, তাকে আমি ঘরে যেতে বলি কিন্তু সে তা না করে উল্টো আমার সাথে তর্ক করে তাই আমার লোকজন তাকে চড় থাপ্পড় মারেন।
এর আগে ভুক্তভোগী বন্দর উপজেলাধীন ধামগড় ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া গ্ৰামের আতাউর রহমানের ছেলে মজিবুর রহমান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীনের আদালতে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাকী আসামিরা হলেন, মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে মো. রাসেল, সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. ফারুক ও নয়ন, চেয়ারম্যান মাসুম আহমদের ছেলে জিতু, মৃত আলী আকবরের ছেলে তোয়াবের হোসেন, আবদুল রাজ্জাকের ছেলে মোশারফ, ফজল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
ভূক্তভোগী মজিবুর রহমান অভিযোগ করেন- পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চেয়ারম্যান মাসুম আহমদ ও তার ছেলেসহ ৮জন আমার বাড়িতে এসে গালাগালি করে। পরে আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে আমাকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারে এবং লাঠিসোঁটা দিয়ে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত করে। আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে চাইলে তাকেও চুলের মুঠি ধরে মারধর করে। ঘরের ভিতরে থাকা মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, পরে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বন্দর থানায় মামলা করতে চাইলে থানায় মামলা নেয়নি। সেই সময়ে করোনা মহামারী থাকায় আমি আদালতেও মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আদালতে মামলা দায়ের করি। আমি চেয়ারম্যান মাসুম ও তার সহযোগীদের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পিবিআই তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে তারা তদন্ত করে দেখবে।








Discussion about this post