কথনো আওয়ামীলীগ নেতা , কখনো জাতীয় পাটির নেতা, কখনো এক ভন্ড পীরের নাম ব্যবহার, আবার কখনো কখনো প্রশাসনের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে সামান্য ফুটপাতের হকার থেকে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া জয়নাইল্লা থেকে আল জয়নাল মূলতঃ জামায়াত শিবিরের পৃষ্টপোষক । এই জয়নাইল্লা নারায়ণগঞ্জে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করেও বারবার জেলা খাটলেও তাকে থামোনো যাচ্ছে না । ভান্ড এক পীর নাকি নারায়ণগঞ্জে অপকর্ম করার জন্য লাইসেন্স নিয়েছে জয়নাইল্লা ওরফে আল জয়নাল ।
নির্লজ্জ এই জয়নাইল্লাকে থামতে কি করতে হবে তা এই শহরবাসী এখনো অনুধারবণ করতে পারে নাই । নারায়ণগঞ্জে এই জয়নাল রেলওয়ের জমি দখল করে তা আবার মামলা করে বীরের বেশে চলছে প্রকাশ্যেই । প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের মতো অসাধু কিছু রাজনীতিবিদ এবং কয়েকজন বিশেষ পেশার কুলাঙ্গারের দল নিয়মিত এই নির্লজ্জ জয়নাইল্লার পক্ষে সাপাই গেয়ে যাচ্ছে নিয়মিতভাবেই । যার কারণে প্রশাসনের অসাধুৃচক্র সুবিধা নিতে পারছে নানা পন্থায় । এতো কেলেংকারীর পর এবার জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল মুখ খুলেছেন এই অপরাধীর বিরুদ্ধে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল বলেছেন, প্রায়শই জমি দখলের অভিযোগ উঠা বিতর্কিত শিল্পপতি আল জয়নাল একজন ‘চোর বাটপার চোরের হাড্ডি’ ।
তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক অনিয়ম আছে। মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। এগুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না। যারা দায়িত্বে আছেন তারা বলেন না। আল জয়নাল আছে একজন সে চোর বাটপার। সে চোরের হাড্ডি। এই চোরদের বাঙলা থেকে বিদায় করতে হবে। নতুবা বিদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নৌকা মানুষের কথা বলে, অধিকারের কথা বলে। এ দেশের গণমানুষের প্রতীক হলো নৌকা। অনেকে নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে পাশ করেন। কিন্তু পরে দলের কোন কাজ করেন না। তারা নৌকার বদনাম করছেন। তাদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তারা নৌকার লোক হতে পারে না।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাদল বলেন, ‘আপনি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য। তল্লা ট্র্যাজেডির পরে আমরা সহযোগিতা করেছি। এক সময়ে কাঁচপুর সেতুর কোন শৃঙ্খলা ছিল না। সাইনবোর্ড দিয়ে আসতে এক থেকে ২ ঘণ্টা সময় লাগে। এজন্য দায়ী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এগুলো আমাদের দেখা উচিত। একজন মানুষ মারা গেলে এক্সিডেন্ট করলে দায়ভার কে নিবে। শহরের দুই নং রেল গেট, চাষাঢ়াতে ফুটওভার ব্রিজ নাই। এগুলো নাই কেন। সিটি করপোরেশনকে খালি দায়ী করবেন কেন। এ দায়িত্ব সকলের। মদনপুরে মানুষ কষ্ট করে মহাসড়ক পারাপার হয়। সেখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ থাকলে মানুষের কষ্ট হয় না। আওয়ামী লীগের পক্ষে এগুলো প্রশাসনকে জানাতে হবে।
২৮ সেপ্টেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বাদল এসব কথা বলেন।
এর আগে থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততায় বৃদ্ধ এক বাক প্রতিবন্ধীর পৈত্তিক সম্পত্তি দখল করেছেন শিল্পপতি জয়নাল আবেদীন ওরফে আল জয়নাল। দখল করেই ক্ষ্যান্ত হননি, ঐ বাক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে অনেকটা ফিল্মি কায়দায় জয়নালের পায়ের সামনে ছুড়ে ফেলে বসতবাড়ী ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার শত শত মানুষের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এই দখল প্রক্রিয়া চললেও পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত ঐ ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করেনি বলে জানা গেছে।
উপরোল্লিখিত বক্তব্য ছাড়াও অনেকেই আরো বলেছেন, এক সময়ের ফুটপাতের হকার জয়নাইল্লা এখন আল জয়নাল বনে যাওয়ার পর দামী গোড়ী হাকিয়ে নিজেকে পুলিশের ডিআইজি পরিচয় দিয়ে ডিআইজির গাড়ীর মতো পুলিশী আদলের বডিগার্ড রেখে পুলিশের হর্ণ বাজিয়ে নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে এই বিশ্ব বাটপার । প্রশাসন যদি জয়রাইল্লার অনৈতিক টাকায় ম্যানেজ না হতো তবে তার সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে যেতো অনেক আগেই । এমন কোন অপকর্ম আছে যা এই জয়নাইল্লা ও তার বাহিনী নারায়ণগঞ্জে করে না ! নারী কেলেংকারী, পীরের ব্যবসা নিয়ে ভন্ডামী , ভূমিদস্যুতা , থানায় প্রবেশ করে ডিউটি অফিসারকে গুলি, চাঁদাবাজিসহ সকল ধরণের অপরাধ করতে শহরের একটি স্বার্থানেষী মহল এই জয়নাল ওরফে জয়নাইল্লার পিছনে থেকে অপরাধের কলকাঠি নাড়ছে ।









Discussion about this post