পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তাদের নানা অনৈতিক বাণিজ্যের কারণে শীতলক্ষা নদী যেন মৃতপ্রায় । এই শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পাণি উত্তোলনের পর তা শোধন করে নগরবাসীর ঘরে এতোদিন পৌঁছে দিতো ওয়াসা ।
সেই ওয়াসার দায়িত্ব হাতে নিয়ে নগরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ডাইংয়ের অপরিশোধিত পানি ও বর্জ্য সরাসরি যেন নদীতে না পরে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোদনাইল পানি শোধনাগার পরিদর্শনে এসে এমন মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জের জাউল্লাপাড়া ব্রিজের নিচ দিয়ে ডাইংয়ের পানি সরাসরি যেন নদীতে আসতে না পারে, সেজন্য দেয়াল দিয়ে বাঁধ নির্মাণ কতে হবে’।
শোধনাগারের জন্য শীতলক্ষ্যা নদীর যে স্থান থেকে পানি উত্তোলন করা হয়, তার পাশ দিয়েই একটি ডাইংয়ের অপরিশোধিত পানি ও বর্জ্য সরাসরি নদীতে এসে পরার বিষয়ে মেয়র চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নগরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে নদী ভরা থাকার কারণে সমস্যা কম হলেও, শীত মৌসুমে নদীর পানির লেভেল নিচে নেমে যায়। ডাইংয়ের বর্জ্য নদীতে মিশে যাওয়ায় শোধনাগারের জন্য উত্তোলিত পানিতে অপরিচ্ছন্ন নোংরা দুর্গন্ধ থেকেই যাচ্ছে।
এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সে সময় নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পানি সরবরাহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজগর হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।









Discussion about this post