এবার নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় নানী বাড়িতে সেভেনআপ নিয়ে আসে দুই মামাতো ভাই ও তাদের এক বন্ধু। সেই সেভেনআপ পান করতেই ঘুমিয়ে পড়েন নানী। ঘুম ঘুম লাগ ছিল স্কুল পড়ুয়া ফুফাতো বোনেরও। এমন অবস্থায় ৩ জন টেনে হেচরে পাশের রুমে নিয়ে গেছেন মেয়েটিকে। এরপর ২ জন হাত ধরে রেখেছেন। আর জাহিদ নামের এক মামাতো ভাই করেছেন ধর্ষণ।
সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বন্দরে নানীর বাড়ীতে বেড়াতে এসে ‘ধর্ষিতা’ হওয়ার বর্ণনা আদালতে দিচ্ছিলেন ১৪ বছর বয়সী মেয়েটি। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুন সেই জবানবন্দী ২২ ধারায় রেকর্ড করেছেন।
অভিযুক্ত জাহিদ (২১) বন্দরের নবীগঞ্জ বড় বাড়ি এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। এ ঘটনায় সহযোগীরা করেছেন জাহিদের ছোট ভাই আসিফ ও তাদের খালাতো ভাই রোহান।
করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় নানী বাড়িতে বেড়াতে আসে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েটি। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার বাড়ি ফাঁকা পেয়ে মামাতো ভাই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
গত ৪ অক্টোবর ৩ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগীতার একটি মামলা দায়ের করেন মেয়েটির মা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অনেক দিন ধরেই আসামি জাহিদ আমার মেয়েকে খারাপ কাজের প্রস্তাব দিয়ে আস ছিলেন। আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় গত ৩ আক্টোবর আমার মা ও আমার মেয়েকে ঘুমের ঔষুধ মেশানো সেভেন আপ পান করান ৩ জন। অচেতন হয়ে পড়তেই পাশের রুমে নিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জাহিদ। আর আসিফ ও রোহান আমার মেয়ের হাত ধরে রাখে। এই সময় আমার মেয়ের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশী রমজান ও রহমান নামের দু’জন লোক এগিয়ে আসলে আসামিরা দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোদাচ্ছের হোসেন জানান, মামলা গ্রহণ করে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীরা মেয়েটির মামাতো ভাই, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।









Discussion about this post