নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকায় চাঁদার দাবিতে পিতা-পুত্র সহ ৩ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দাম বাহিনী।
রক্তাক্ত জখম নিয়ে আহত অবস্থায় তাদেরকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সিদ্দিক খন্দকার বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একটা মুদি দোকান চাঁদার দাবিতে বন্ধ রাখার জন্য সোলেমান ও তার ছেলেরা দীর্ঘদিন যাবত হুমকি দিয়ে আসছে।এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানানো হলে তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়।
সে ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে সোলেমান ও তার ছেলে সাদ্দাম, শফিকুল ও সুমন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানের সামনে এসে সিদ্দিক খন্দকারকে গালিগালাজ করে।একপর্যায়ে তারা দোকানের ভেতর ঢুকে সিদ্দিক কে মারপিট করে।
এসময় সিদ্দিকের ছেলে মিশুক খন্দকার ও ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামের ভাতিজা এরশাদুল বাধা দিলে তাদেরকেও বেদম মারপিট করে তারা।আসামি সাদ্দামের হাতে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সিদ্দিক খন্দকার ও তার ছেলে মিশুকের শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরতর রক্তাক্ত জখম করে।
আসামীরা দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং প্রায় এক লক্ষ হাজার টাকার মালামাল ভাংচুর ও নষ্ট করে। এসময় আশপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
আহত সিদ্দিক খন্দকারের ভাতিজা সাইফুল খন্দকার বাদী হয়ে সোলেমান ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে আরও জানা যায়, সোলেমানের ছেলে সাদ্দাম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। তার মাদক ব্যবসায় বাধা দিলে এলাকাবাসীর উপর সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। বিভিন্ন দোকানপাট থেকে জোরপূর্বক চাঁদা তুলে মাদক সেবন করে সাদ্দাম বাহিনী।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফখরুদ্দিন ভুইয়া বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।









Discussion about this post