নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় বাল্কহেড ও যাত্রবাহী নৌকার সংঘর্ষে শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিন অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত দুই ব্যক্তি হলেন: শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া দেওজুড়ি এলাকার আব্দুল জব্বার হাওলাদারের ছেলে আবু হানিফ (৩৮) এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাকান্দা এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান (৬০)। আবু হানিফ বন্দর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি ফলের ব্যবসা করতেন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী নৌকায়। নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল খেয়াঘাট দিয়ে ওই নৌকায় অন্তত ১৫ জন যাত্রী শীতলক্ষ্যা নদী পার হচ্ছিলেন। বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাটি দোদুল্যমান অবস্থায় ভয়ে পানিতে লাফিয়ে পড়েন যাত্রীরা। অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পানিতে ডুবে নিখোঁজ ছিলেন আবু হানিফ। দুই দিন পর বন্দর স্কুল ঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ মেলে তার। অন্যদিকে বৃদ্ধ খলিলুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
রাতে নদীতে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, রাতের বেলা বিনা বাধায় শীতলক্ষ্যা নদীতে বাল্কহেড চলাচল করে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কড়া নজরদারির দাবি জানান তারা।
নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে বাল্কহেড চলাচল নিষেধ থাকলেও তা উপেক্ষা করে নৌযানটি চলাচল করছিল। এ সময় যাত্রীবাহী একটি নৌকাতে ধাক্কা দিলে ভয়ে নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন যাত্রীরা। এ ঘটনায় হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার রাতেই আমরা বাল্কহেডসহ চারজনকে আটক করা হয়। ওই রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।’ রাতে নদীতে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ বিষয়ে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলে মন্তব্য করেন নৌ পুলিশের এই কর্মকর্তা।









Discussion about this post