কয়লা ধুইরে যেমন ময়লা যায় না ঠিক তেমনি পদোন্নতি পেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরও অপরাধ প্রবণতা পিছু ছাড়ে নাই নারায়ণগঞ্জ থেকে সদ্য বিদায়ী জেল সুপার সুভাষ ঘোষের । সুভাষ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তার নিয়ন্ত্রিত কিছু দালাল নারায়ণগঞ্জে শুরু করতো নানা অপপ্রচার । একই সাথে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর অন্ধভক্ত পরিচয় দিয়ে নানাভাবে তেলবাজির অভিযোগ ছিলো দীর্ঘদিন যাবৎ । পদোন্নতি পেয়ে তেলবাজ এই সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ ঘোষ তার অপকর্ম অব্যাহত রাখায় তার বিরুদ্ধে এবার তদন্ত দাবী করেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ।
মাদক মামলার এক আসামিকে তড়িঘড়ি করে কারামুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের বিরুদ্ধে। আইনজীবীদের অভিযোগ, জামিন স্থগিতের বিষয়টি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে ফোন ও মেইলে জানানোর পরও সংশ্লিষ্ট জেল সুপার তা আমলে নেননি। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর গুলশানের হর্স এন্ড হর্স রেস্টুরেন্টে অবৈধ মাদক ব্যবসার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় সফিউল্লাহ আল মনিরকে। এই মামলায় গত ৮ নভেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিন নেন তিনি। এর ৪ দিন পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে তার জামিন স্থগিত হয়ে যায়।
যা লিখা ছিল সফিউল্লাহ আল মুনিরের জামিন নামায়:
- গুলশান থানার মাদক মামলায় ৮ নভেম্বর জামিন
- ১২ নভেম্বর জামিন স্থগিত করেন দায়রা জজ আদালত, জামিন স্থগিতের বিষয়টি ওই দিন (১২ নভেম্বর) বিকেল ৫.৩৬ মিনিটে ফোনে এবং সন্ধ্যা ৬ টা ১১ মিনিটে ইমেলের মাধ্যমে জানানো হয় সিনিয়র জেল সুপারকে।
- ১১ নভেম্বর বনানী থানার প্রতারণার অপর মামলায় জামিন পান তিনি।
- গুলশানের মাদক মামলায় জামিন স্থগিতের বিষয়টি গোপন করে ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আইনজীবীদের অভিযোগ, জামিন স্থগিতের বিষয়টি ওই দিনই অর্থাৎ ১২ নভেম্বর আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে ফোন করে ও ইমেইলের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ সেটি আমলে না নিয়ে ঐদিন সন্ধ্যায় তাকে মুক্তি দিয়েছে। যা অস্বাভাবিক ঘটনা।
এছাড়া প্রতারণার আরেক মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর অস্বাভাবিক গতিতে জামিন নামা কারাগারে পৌঁছানোর ঘটনাও ঘটেছে তার ক্ষেত্রে। তাই পুরো বিষটি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান বলেন, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, সিনিয়র জেল সুপার এ বিষয়ে অবগত থাকার পরেও এই সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে মুক্তি পেলেন, এটা আমাদের বোধগম্য নয়।
যদিও তড়িঘড়ি করে আসামিকে কারামুক্ত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার সিনিয়র জেল সুপার সুভাস ঘোষ বলেন, জামিন নামা পাওয়ারও দুই ঘণ্টা বিশ মিনিট পরে যেসব নিয়ম আছে, সেই অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার সিনিয়র জেল সুপার সুভাস ঘোষের এমন কর্মকান্ডের ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের পর নারায়ণগঞ্জ কারাগারের অনেক কর্মচারী কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহাধূর্ত নারায়ণগঞ্জের সেই জেল সুপার কত কোটি টাকার মালিক তা কল্পনাও করতে পারবে না কেউ । ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার সিনিয়র জেল সুপার সুভাস ঘোষ হলেও তার অবৈধ উপার্জনের বিশাল অর্ধ ভারতে পাচার করেছে । নিজ পৈত্রিক বাড়ী টাঙ্গাইল হলেও বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ভারতের কলকতায় । নিজ ও শ্বশুড় বাড়ির পরিবারের সদস্যদের নামে সুভাষ ঘোষ বিশাল অর্থে ফ্লাট , বাড়ি , জমি ক্রয় করেছেন কলকাতায় । একই সাথে বিশাল ব্যবসাও রয়েছে ভারতের কলকাতায় । এমন জোড়ালো অভিযোগ যাচাই করার জন্যও দাবী করেছেন নারায়ণগঞ্জ কারাগারের অনেক সদস্য । যারা প্রায় দুই বছরের অধিক সময় এক সাাথে নারায়ণগঞ্জে কাজ করেছেন সুভাষ ঘোষের সাথে ।









Discussion about this post