জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা প্রতিরোধ করতে এসেছি প্রতিবাদ না। একেবারে প্রতিরোধ করতে হবে। প্রত্যেকের জায়গা থেকে। প্রতিরোধ করার অনুভূতি যেন পরবর্তি প্রজন্মের কাছে চলে যায় সেজন্য কাজ করতে হবে। এখানে আজ শুরু। যতদিন পর্যন্ত এই ধরনের ধৃষ্টতা দেখাবে, এই ধরনের আচরণ দেখাবে তাঁদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। অবশ্যই প্রতিরোধের ভাষা হবে কঠোর। সেটা হবে সংবিধানের ভাষায়।’
১২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ স্লোগানে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মানাধীন ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতা সংবিধান দিয়ে গেছেন। সংবিধানকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের। প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে হবে। সংবিধানে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে কি করব কি করব না। প্রগতিশীল চিন্তাভাবনায় যেটা আমাদের দেশের অস্তিত্ব বিরোধী তার পিছনে আমাদের দাঁড়াতে হবে। কারণ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এই মাটির স্বাদ গন্ধ আমি গ্রহণ করি, এই দেশকে আমি বিশ্বাস করি অস্তিত্বকে আমি বিশ্বস করি। আর সেই অস্তিত্ব দিয়ে গেছে জাতির পিতা। আমাকে রুখে দাঁড়াতেই হবে। দায়সারা গোছের কোনো কাজ হবে না। এখানে সবাই এসেছি। কেউ কাউকে ডাকেনি। সবাই সবার ঐতিহ্য, অস্তিত্ব এবং নিজের ভেতর থেকে অনুভূতি নিয়ে এসেছি। জাতির পিতা না থাকলে আমার অস্তিত্ব থাকতো না। তিনি ৭মার্চের বক্তব্যই নয় একটি লাল সবুজের দেশ দিয়ে গেছে। সেই দেশ রক্ষা করার দায়িত্ব সবার।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অনেকে বলতে পারেন ভুল করেছে। কেউ বা অন্য বিষয় ধরিয়ে দিতে পারে। বিষয়টি সেখানে নয়। সেই একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা এখনো স্বপ্ন দেখে এই দেশকে অকার্যকর করবে, সরকারকে বিব্রত করবে। পদ্মা সেতুর মত বড় প্রকল্প যখন নিজের অর্থায়নে করতে পারি। এরাই কিন্তু একসময় বলেছিল পদ্মাসেতুতে মাথা লাগবে। কি ধরণের গুজব ছড়িয়েছিল তাঁরা। শুধু এখানেই নয়। এখনো ধর্মের নামে বিভিন্ন কথা বলে। এর সাথে কিন্তু ধর্মপ্রাণ মানুষ জড়িত নয়। পাকিস্তানি পরাজিত শক্তি যারা এখনো দেশকে চায় না। তাঁরাই অনুভব করেছে কিভাবে উস্কে দেওয়া যায় এবং কোমলমতি বাচ্চাদের দিয়ে কিভাবে এই কাজ করা যায়।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নারায়ণগঞ্জ এর বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস, ৬২ বিজিবি নারায়ণগঞ্জ ব্যাটিলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মেহেদী হাসান আল আমীন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টিএম মোশারফ হোসেন, র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার সুমিনুর রহমান, সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বেলা রানী সিংহ, কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ জেলা পর্যায়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারি প্রতিনিধি বৃন্দ।
এছাড়াও উক্ত প্রতিরোধ সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলার শিক্ষক প্রতিনিধি, কর্মচারি প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবি-সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।









Discussion about this post