নারায়ণগঞ্জ জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির স্বঘোষিত সভাপতি শাহজাহান খান কে এবার উচ্চ আদালত থেকেও জামিন নামঞ্জুর করেছে ।
সোমবার ২১ ডিসেম্বর দুপুর পৌনে ১ টায় হাইকোর্টের মূল ভবনের ১৫ নাম্বার আদালতের বিচারপতি এ,কে,এম, আসাদুজ্জামান গজারিয়া থানার কজ্বিকাটা চাঁদাবাজির মামলার মূল আসামী শাহজাহান খানের জামিন নামঞ্জুর করেন ।
উচ্চ আদালতের এমন আদেশের কারনে গত ২২ দিন যাবৎ কারাগারে থাকা মহাধুর্ত শাহজাহান খানের জামিন আপাততঃ হচ্ছে বা বলে গুঞ্জন উঠেছে উচ্চ আদালত প্রাংগণে ।
মুন্সীগঞ্জ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নানা অপকর্মের হোতা শাহজাহান খান ও তার সহযোগীরা মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার চাঁদার দাবীতে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে কজ্বিকেটে উল্লাস করে । এমন লোমহর্ষক ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ১ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় শাহজাহান খান প্রথমে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ও জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন না মঞ্জুরের পর এবার উচ্চ আদালত থেকেও জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করে। এমন আবেদনের পর অদ্য সোমবার শুনানি শেষে আবেদন না মঞ্জুর করে বিজ্ঞ বিচারক ।
তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন হাজার ওষুধ ব্যবসায়ীদেরকে জিম্মি করে নানাভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ শাহজাহান খানের নেতৃত্বাধীন একটি চক্র নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে নিজেকে সভাপতি ঘোষনা করে ব্যাপক চাঁদাবাজি ছাড়াও নিজ জেলা মুন্সীগঞ্জের গহাজরিয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদা আদায়ের পর ফের আরো চাঁদার দাবীতে গত ৯ সেপ্টেম্বর রুবেল ও কবির নামের দুই যুবককে কুপিয়ে হাতের কব্জি কেটে উল্লাস করে তিন ভাই, আপন ভাতিজাসহ শাহজাহান খানসহ তার অনুসারীরা।

৯ সেপ্টেম্বর এমন কজ্বি কেটে প্রকাশ্য উল্লাসের পর থানায় মামলা দায়ের করেল গাঢাকা দেয় শাহজাহান খানসহ এই মামরার সকল আসামীরা । মুন্সীগঞ্জের পুলিশের খাতায় পলাতক হলেও নারায়ণগঞ্জের দক্ষিন সস্তাপুর এলাকার দ্বিতীয় স্ত্রী ডাঃ জি এ বানুর বাড়ীতে অবস্থান করে প্রকাশ্যেই নারায়ণগঞ্জ পুলিশকে ম্যানেজ করে চলাফেরা করতো এবং খান মেডিক্যাল হল নসামক ফার্মেসীতে নানা কুটকৌশল অব্যাহত রাখে। এমন ঘটনা প্রকাশ হলে গত ২৪ নভেম্বর শাহজাহান খানের আপন ভাই আজিজ খান, ফজলুল করিম খান, জামান খান, আল আমিন খান নূরুজ্জামান খান, মাসুম খান, সাইদুর খান, সোলাইমান খান, শিকদার, আরমান খানসহ ২০ আসামী মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাদের কারাগারে পাঠায় বিজ্ঞ বিচারক ।
পরবর্তীতে ১ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের নানা অপকর্মের হোতা শাহজাহান খান মুন্সীগঞ্জ জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় ।
এরপর আবার জামিন আবেদন করণে না মঞ্জুর করে মন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত । এমন আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) জামিন আবেদন করে অসংখ্য মেডিক্যাল সার্টিফিকেট, রাজনৈতিক দলের পদ পদবী উপস্থাপন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির প্যাডে নানা হলফনামা হিসেবে মৃত হায়দার আলী খানের পুত্র শাহজাহান খানণের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে জামিন আবেদন করলেও বিচারপতি এ,কে,এম, আসাদুজ্জামান গজারিয়া থানায় দায়েককৃত কজ্বিকাটা চাঁদাবাজির মামলার মূল আসামীর জামিন না মঞ্জুর করেন ।









Discussion about this post