তিন খুনসহ অসংখ্য মামলার আসামী এক সময়ের আশরাফ (উত্তরা) আলী জুট মিলের কেরানী হারুনের পুত্র নজরুল, রফিক, সাইফুল, ক্যাসিনো কিং তরিকুল ইসলাম মোঘল ও নানা অপরাধের মূল হোতা শফিসহ পুরো পরিবারের অত্যাচারে এবার অতিষ্ট হয়ে উঠেছে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরবাসী । মাত্র কয়েক বছর পূর্বেও যে কাঞ্চনে এলাকায় শান্তির জনপথ হিসেবে পরিচিত ছিলো সেই কাঞ্চন বর্তমানে অস্ত্রের ঝনঝনা ও বোমা হামলায় আতংকে থাকে পুরো এলাকবাসী । আর নিঃস্ব কেরানী হারুন পরিবার যখন ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করতো সেই পরিবারের সকলেই এখন কোটি কোটি টাকার মালিক ! সেক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের আস্কারায় এই হারুন কেরানীর পরিবারের সদস্যরা পুরো কাঞ্চন পৌর এলাকা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে ।
একের পর এক প্রতিনিয়তঃ অসংখ্য ঘটনার পর এবার কাঞ্চন পৌর যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ রবিউল আলমের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে । গত বুধবার রাত ১২.৫৩ মিনিটে মোঃ রবিউল আলম এর কেন্দুয়া পাড়া বাড়ীতে সন্ত্রাসী বাহিনী ২ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
বাড়ির মালিক ও স্থানীয়রা জানান, ঘরের গেটের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। অপরটি বাড়ির ভিতরে। সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছে হারুন কেরানীর ছেলে শফি।
অপর হামলাকারীরা হলেন, আরজুর ছেলে হালিম,জয়নালের ছেলে সুজন, বেলায়েতের ছেলে তামিম, কালুর ছেলে শরিফ, সফির ছেলে নজরুল, শহিদুল্লাহ ছেলে রহমান, মাতবরের ছেলে জাহাঙ্গীর ডাক্তার, সিরাজের ছেলে শাহাদাত, সোনা মিয়ার ছেলে তোফায়েল,সুলতানের ছেলে নাজমুল,মির্জার ছেলে অপু, রহিম মোল্লার ছেলে আরিফ,বাচ্চুর ছেলে ফাহিম,আশরাফুলের ছেলে সজিব,জামালের ছেলে রিয়াদ,জয়নালের ছেলে মাছুম,তোতার ছেলে শ্যামল,মুজাম্মেলের ছেলে বাবা শাহিন,শাহার ছেলে আতাউর,আরমানের ছেলে আতিকুর সহ ১০/১৫জন । বৃহস্পতিবার ভোলাব ফাঁড়ীর ইনচার্জ মাহবুব আলম , এসআই সানোয়ার,আমিনুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দ করেছেন ।
ভোলাব ফাঁড়ীর ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, আমি পরে গেছিলাম। ককটেল বিস্ফোরণের আলাতম পাওয়া গেছে গেছে। বিস্তারিত পরীক্ষা করে বলা যাবে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাড়ির মালিক অভিযোগ দিতে রূপগঞ্জ থানায় গিয়েছে।
প্রসঙ্গত সফির সন্ত্রাসী বাহিনী ১৩ জানুয়ারী শান্তর বাড়ীতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।কাঞ্চন পৌরবাসী এই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী করেছে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে কাঞ্চন এলাকায অনেক শান্তিপ্রিয় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশের ওসি ও এএসপি হলো এই সন্ত্রাসী পরিবারের খ এর খা । কাঞ্চন পৌর এলাকার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে এই সন্ত্রাসীরা । এরা খুনের পর খুন করেও বুক ফুলিয়ে এলাকায় রাম রাজত্ব চালাচ্ছে । এদের হাতে রয়েছে ভূমিদস্যুতার বিশাল অর্থ , ক্যাসিনোর অর্থ, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের শেল্টার, এরা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের শেল্টারে যা খুশি তা করে বেড়াচ্ছে । যে পুলিশ আইন প্রয়োগ করবেন সেই পুলিশ যদি সন্ত্রাসীদের খ এর খা হয়ে সন্ত্রাসীদের হুজুর হুজুর করে তাদেরকে ঠেকায় কে ? অপরাধীদের খ এর খা যখন কর্তা ব্যক্তিরা তখণ এই বোমা হামলা তো সাধারণ বিষয় । এই এলাকার শান্তি কামনায় নব নিযুক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন উল কাদিরের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অনেকেই ।
এমন খ এর খা হিসেবে পুলিশের কর্মকর্তাদের আচরণ পাল্টে নতুন করে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন উল কাদির । তিনি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, অনেকেই অনেক কিছু বলবে । তবে আমাদের কোন দূর্ণাম থাকলে তা উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো ।









Discussion about this post