• About Us
  • Contact Us
  • Home
  • Privacy Policy
NganjNewsUpdate
Advertisement
  • Home
  • মহানগর
  • শহরের বাইরে
  • রাজনীতি
  • অপরাধ
  • সারাদেশ
  • আর্ন্তজাতিক
  • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • সংগঠন সংবাদ
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • এক্সক্লুসিভ
    • বিশেষ সংবাদ
    • শিক্ষাঙ্গন
    • অর্থনীতি
    • মন্তব্য প্রতিবেদন
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য ও সংস্কৃৃতি
    • স্বাস্থ্য
  • Home
  • মহানগর
  • শহরের বাইরে
  • রাজনীতি
  • অপরাধ
  • সারাদেশ
  • আর্ন্তজাতিক
  • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • সংগঠন সংবাদ
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • এক্সক্লুসিভ
    • বিশেষ সংবাদ
    • শিক্ষাঙ্গন
    • অর্থনীতি
    • মন্তব্য প্রতিবেদন
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য ও সংস্কৃৃতি
    • স্বাস্থ্য
No Result
View All Result
NganjNewsUpdate
No Result
View All Result

মিনিকেট চাল : এক ফাঁকির নাম

Tuesday, 26 January 2021, 8:57 pm
মিনিকেট চাল : এক ফাঁকির নাম
7
SHARES
24
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

ফসলের ক্ষেতে মিনিকেট নামে কোনো ধানের অস্তিত্ব যেখানে নেই, সেখানে বাজার সয়লাব মিনিকেট নামের চালে।

ফয়সাল আতিক, নিজস্ব প্রতিবেদক  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম :

এই ধান কোত্থেকে আসে, কীভাবে মিনিকেট চাল হয়ে যায়, তা ভোক্তাদের অজানা থাকলেও গত দুই দশক ধরেই খাবার টেবিলে তা শোভা বাড়াচ্ছে। কারণ এথেকে চিকন ও সাদা ভাত হয়।

এই চাল নিয়ে এই অসাধু ও অস্বচ্ছ বাণিজ্যের ফলে একদিকে যেমন ভোক্তা প্রতারিত হচ্ছেন, অন্যদিকে অতিমাত্রায় ছাঁটাইয়ের ফলে চালের পুষ্টিমান কমে গিয়ে তা শরীরের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান আইনে ধানকে মিনিকেট করা ঠেকানোর কোনো সুযোগ না থাকায় ভোক্তাদের সচেতন হয়ে ওঠাই এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

এই ধান কোত্থেকে আসে, কীভাবে মিনিকেট চাল হয়ে যায়, তা ভোক্তাদের অজানা থাকলেও গত দুই দশক ধরেই খাবার টেবিলে তা শোভা বাড়াচ্ছে। কারণ এথেকে চিকন ও সাদা ভাত হয়।

এই চাল নিয়ে এই অসাধু ও অস্বচ্ছ বাণিজ্যের ফলে একদিকে যেমন ভোক্তা প্রতারিত হচ্ছেন, অন্যদিকে অতিমাত্রায় ছাঁটাইয়ের ফলে চালের পুষ্টিমান কমে গিয়ে তা শরীরের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান আইনে ধানকে মিনিকেট করা ঠেকানোর কোনো সুযোগ না থাকায় ভোক্তাদের সচেতন হয়ে ওঠাই এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

নাম এল কীভাবে ?

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক ড. কৃষ্ণ পদ হালদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিনিকেট নামে কোনো ধানের জাত নেই।

তাহলে এই নাম কী করে এল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ভারতের কৃষকরা এই নাম দিয়েছে। তবে গবেষণাগারে এই জাতের কী নাম দেওয়া হয়েছে, তা আমরা জানতে পারিনি বা জানার চেষ্টা করিনি।”

অনুসন্ধানে জানা যায়, মিনিকেট শব্দটি এসেছে ইংরেজি শব্দ ‘মিনি’ ও ‘কিট’ থেকে। ভারত সরকার নতুন উদ্ভাবিত কোনো ধানের বীজ ছোট বা মিনি প্যাকেটে কৃষকদের দেয়, তা থেকে কথ্য ভাষায় এই নাম হয়। পরে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত থেকে কিছু ধানের জাত বাংলাদেশে আসে।

ভারত সীমান্তের কুষ্টিয়া জেলার ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ ঢাকার বাজারে মিনিকেট চালের বাণিজ্যিক প্রচলন ঘটিয়েছেন বলে ব্যবসায়ী মহলে প্রচলিত রয়েছে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘মিনিকেট ধান’ বাংলাদেশের ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে আসেনি। মিনিকেট এর জাতের নামও নয়। এই ধানের প্রকৃত নাম যে কী, তা এখনও জানি না।

“তবে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের এই ধানের বীজ ও সারসহ একটি প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছিল। তখন এটাকে মিনিকিট বা মিনিকেট নামেই ডাকতে শুরু করে কৃষকরা।”

“১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সালের দিকে ভারত থেকে যশোরে এই ধানের বিস্তার হয়। পরে পাশের জেলাগুলোতেও ছড়ায়,” বলেন তিনি।

কেটে হয় মিনিকেট

গত মওসুমে দেশে ধানের সর্বমোট ফলন ছিল ৩৮৬ লাখ টন; যার মধ্যে কৃষকের কাছে পরিচিত ‘মিনিকেট’ হিসেবে চাষ হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টন। অথচ বছরজুড়ে বাজারে কিংবা অটো রাইস মিলগুলোর সরবরাহ লাইনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই থাকছে মিনিকেট চাল।

ড. কৃষ্ণপদ বলেন, “মূলত মিনিকেট নামে প্রচলিত ধানের আবাদ বাংলাদেশে খুব বেশি একটা হয় না। ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে উদ্ভাবিত বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ধান থেকে চাল তৈরি করে সেটাই মিনিকেট হিসাবে বিক্রি করছে মিল মালিকরা।

“এখন এমন আধুনিক যন্ত্রপাতি এসেছে যে যে কোনো ধানকে কেটে যে কোনো আকৃতি দেওয়া হয়। ফলে ধান যাই হোক, মিনিকেট চাল তৈরিতে মিলগুলোর কোনো সমস্যা হয় না।”

দেশে মিনিকেটের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা রশিদ এগ্রোর প্রতিষ্ঠাতা রশিদ এ বিষয়ে বলেন, “আমরা যারা হাস্কার, আমরা প্রথমে ধানের উপর থেকে খোসা ছাঁটাই করি। তারপরে এটাকে হোয়াইটনারে দিয়ে সাদা চকচকে করি। বাজারের চাহিদার কারণে আমরা বাড়তি প্রযুক্তি ও শ্রম ব্যবহার করে চালকে আরও উজ্জ্বল করে থাকি।”

নিকেটের প্রকৃত উৎপাদন কত ?

দেশের অন্যতম বৃহৎ আধুনিক চালকল রশিদ অটোমেটিক রাইস মিলসের মালিক আব্দুর রশিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার কারখানায় দৈনিক দেড় হাজার টন ধান ভাঙানোর কাজ চলে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই রয়েছে মিনিকেট চালের উৎপাদন।

সেই হিসাবে, বছরে ৩০০ কর্মদিবস হিসাব করলে অন্তত চার লাখ ৫০ হাজার টন ধান ভাঙানোর কাজ চলে রশিদ অটো রাইস মিলে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ মিনিকেট চাল হলে তার পরিমাণ দাঁড়ায় তিন লাখ ৩৭ হাজার টন। এর বাইরে পাইজাম, নাজিরশাইল, স্বর্ণ, বিআর আটাশ জাতের চালও উৎপাদন হয় ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের চালকলে।

কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বোরো মওসুমে ‘মিনিকেট’ ধানের উৎপাদন মাত্র ৫ লাখ ৯৯২ মেট্রিক টন। মিনিকেটের কাছাকাছি আকৃতির নাজিরশাইল ধানের উৎপাদন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬২৪ মেট্রিক টন।

অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের মনিটরিং শাখার উপ পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, একই মওসুমে চিকন চালের ধান হিসাবে পরিচিত বিআর ২৮ ধান উৎপাদন হয়েছে ৪১ লাখ টন, বিআর ২৯ উৎপাদন হয়েছে ৪৩ লাখ টন। একইভাবে ব্রি ৫০ উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ টন, ব্রি ৫৮ উৎপাদন হয়েছে ১৬ লাখ টন।

বর্তমানে দেশে ১৯ হাজার ৭৩৪টি চালকল বা চাতাল রয়েছে। এদের মধ্যে যারা বৃহদাকারে চালের আন্তঃজেলা বাণিজ্য করে থাকে, তারা সবাই মিনিকেট ব্র্যান্ডের চাল উৎপাদন করে থাকে। এছাড়া মোজাম্মেল, বিশ্বাস, সাকি, ডলফিন, জোড়া কবুতরসহ আরও অসংখ্য ব্র্যান্ড সারা বছর বাজারে মিনিকেট চাল সরবরাহ করে থাকে।

বাজারে এখন বিআর আটাশ চালের ৫০ কেজির বস্তার মূল্য ২৩০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা। আর একই ওজনের মিনিকেট চালের বস্তা ২৯০০ টাকা। ব্যাপক চাহিদার কারণে মিনিকেটের দাম সারা বছরই অন্যান্য চিকন চালের চেয়ে বস্তায় ৩০০/৪০০ টাকা এগিয়ে থাকে।

তাহলে কী অধিক লাভের আশায় মিনিকেট ধান ছাড়াও অন্যান্য জাতের ধান ভেঙে মিনিকেট চাল তৈরি করা হচ্ছে?

এর উত্তরে ব্যবসায়ী রশিদ বলেন, বৃহত্তর যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ এই অঞ্চলে বোরো মওসুমে ৮০ শতাংশ জমিতে ‘মিনিকেট’ ধান চাষ হয়।

“সারাদেশে আমাদের মিনিকেট চালের ব্যাপক চাহিদার কারণে আমরা কৃষকের কাছ থেকে মিনিকেট ধান সংগ্রহ করে তা দিয়েই চাল উৎপাদন করি। ২০১৫ সালের দিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি আমার মিলে ৩/৪ দিন অবস্থান করে বিষয়টি দেখেছে।”

তবে রশিদের এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত করছেন কুষ্টিয়ার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস, ঝিনাইদহ জেলার কৃষি কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও যশোর জেলার কৃষি কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।

এই অঞ্চলে মিনিকেট নামে প্রচলতি ধানের চাষাবাদ নিয়ে তাদের ভাষ্য প্রায় একই ধরনের। ৫ থেকে ১০ শতাংশ জমিতে ওই ধান চাষ হয় বলে জানান তারা।

উত্তরবঙ্গের মিলগুলোতে ‘মিনিকেট’ ধানের কাছাকাছি মানের ও আকৃতির জিরাশাইল ধান থেকে মিনিকেট চাল করা হয় বলে দাবি করেন রশিদ।

তবে মিনিকেটের বাজার যখন একচেটিয়া হয়েছে, তখন অনেক মিল মোটা ধান কেটে মিনিকেটের নামে বিক্রি করছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

“এধরনের অসাধু ব্যবসায়ী কম-বেশি সব জায়গাতেই রয়েছে। আমি এটা অস্বীকার করব না। এতে করে ক্রেতারা একটু প্রতারণা শিকার হয়ে থাকেন। অনেকে হয়ত প্রতি বস্তায় ৫০/৬০ টাকা কমে পেয়ে এই কাটছাঁট করা চালগুলো কিনে থাকেন। কিন্তু মানের দিক থেকে এটা অনেক ডাউন।”

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রশিদের সঙ্গে আবার দ্বিমত করেছেন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরবঙ্গের চাল ব্যবসায়ী লায়েক আলী।

জয়পুরহাটের এই চালকল মালিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে ধান থেকে মিনিকেট চাল হয়, তাকে কোনো এলাকায় মিনিকেট আবার উত্তরবঙ্গে বলে জিরাশাইল। মূলত জিরাশাইল ধান থেকেই মিনিকেট চাল তৈরি করা হয়। উত্তরবঙ্গে জেলাগুলোতে এর ব্যাপক আবাদ রয়েছে।

“কুষ্টিয়ার যে ব্যবসায়ী বলেছেন উত্তরবঙ্গে মিনিকেট আবাদ হয় না, অন্য জেলার আবাদ সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকার কারণে তিনি কথাটি বলেছেন।”

লায়েক বলেন, “উত্তরে দিনাজপুর থেকে শুরু করে নওগাঁ, বগুড়া, আর দক্ষিণে খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর সর্বত্র এই মিনিকেট ধান জিরাশাইল নামে আবাদ হচ্ছে। অন্যান্য ধানের তুলনায় এই ধানের ফলন ভালো, বাজার মূল্য বেশি।”

পুষ্টিগুণ কমে যায় ?

যশোর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ অঞ্চলে সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কাজ করা একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুধু যে মোটা ধান মেশিনে ঘষে চিকন করা হচ্ছে, তা নয়, বরং মিনিকেট হিসাবে পরিচিতি পাওয়া ধানগুলোকেও উজ্জ্বল ও সুন্দর করার জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘষে চিকন করা হচ্ছে। আমি নিজে পৃথক পরীক্ষা চালিয়ে বিষয়টি দেখেছি।”

ধানের খোসা ছাড়ানোর পর বেশি ঘষে কমিয়ে ফেলা চাল খেলে তাতে ক্ষতিকর হয় কি না, সে প্রশ্ন করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসক তাসনিম জারার কাছে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিলগুলোতে অধিক পরিমাণে ঘষে ফেলার ফলে চালে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদন কমে যায়, সেখানে কার্বোহাইড্রেটের বড় একটা অংশ অবশিষ্ট থাকে। মেশিনে চালকে ঘষামাজা করে সরিয়ে দেওয়া ফাইবার কোলস্টেরল স্বল্পতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করতে পারে।

“গবেষণায় দেখা গেছে- অধিক পরিশোধিত চাল স্থূলতা, ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আর এভাবেই যেটা পুষ্টির একটা বড় জোগান হতে পারত, সেটা হয়ে যায় স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ।”

ব্যবসায়ী রশিদ এ বিষয়ে বলেন, “আবরণসহ চাল তৈরির পদ্ধতিও আমাদের কাছে আছে। আপনি যদি মনে করেন ব্রাউন কালারের চালটা আমরা খাব বা নেব, তাহলে সেটাও আমরা দিতে পারব। আর ব্রাউন চালে পুষ্টি উপাদন বেশি থাকে, এটা একটা স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার।”

দায়িত্ব ভোক্তাদেরই

দেশের প্রধান খাবার চালের একটি ধরনে এই ফাঁকি নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারের মন্ত্রীরা কথা বললেও এনিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও ‘মিনিকেট’ সমস্যা নিয়ে আপাতত ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির ওপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমান আইন দিয়ে এই কাজটি প্রতিরোধ করার সুযোগ নেই।

প্যাকেটের গায়ে ‘মিনিকেট’ লিখে ভেতরে অন্য জাতের চাল সরবরাহ করলে তা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ৩২তম ধারা অনুযায়ী অপরাধ।

এ বিষয়ে মঞ্জুর বলেন, “এটা হতে পারে; কিন্তু বিষয়টি আগে আমাদেরকে প্রমাণ করতে হবে। তবে সেই আইনের প্রয়োগ ঘটানোর জন্য উদ্যোগটি কোন সংস্থা থেকে কীভাবে কতটুকু নেওয়া হবে, সেটা ঠিক করা প্রয়োজন।

“চাল ঘষে চিকন করলে হয়ত চালের পুষ্টিগুণ কমে, কিন্তু সেটা ভেজাল খাবার বলা যায় না। নিরাপদ খাদ্য আইনে আপাতত ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধরুন অধিক তেলে ভাজা মোগলাই খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু সেটা তো আর নিষিদ্ধ করা যায় না। ভোক্তাদেরকেই পরিস্থিতি বুঝে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।”

মিনিকেট চালের নামে ভোক্তা ঠকানোর বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে এনিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজারে প্রচুর মিনিকেট চাল দেখা গেলেও বাস্তবে দেশে তো মিনিকেট ধানের এতটা আবাদ হয় না। এসব অস্পষ্টতার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করার জন্য গত ছয়মাস ধরে আমরা কাজ করছি।

“এছাড়া আমাদের মহাপরিচালক মহোদয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। আমরা আরও কিছুদিন সচেতন করে পরবর্তীতে শক্ত অবস্থানে যাবো। কারণ চাল কাটছাঁট করতে গিয়ে এর খাদ্যমান নষ্ট হয়; পাশাপাশি ভোক্তাকে ঠকানো হয়।”

 

 [প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসান আলী]

Previous Post

বন্দরের নির্লজ্জ মাসুম চেয়ারম্যানের অবৈধ ইটভাটা, জরিমানা ১০ লাখ

Next Post

নারায়ণগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ, জরিমানা ৩৫ লাখ

Related Posts

‘প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায়’ দখল : বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
Lead 4

‘প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায়’ দখল : বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বিএনপি কর্মী পলাতক
Lead 4

ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বিএনপি কর্মী পলাতক

আড়াইহাজার থানা থেকে লুট হওয়া শটগান উদ্ধার
Lead 4

আড়াইহাজার থানা থেকে লুট হওয়া শটগান উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপারের মিজানুর রহমান মুন্সী’র যোগদান
Lead 1

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপারের মিজানুর রহমান মুন্সী’র যোগদান

মাদক, জুয়া ও বন্ধুত্বের নির্মাম শিক্ষা  : তাকবির হত্যার রহস্য উন্মোচন
Lead 1

মাদক, জুয়া ও বন্ধুত্বের নির্মাম শিক্ষা : তাকবির হত্যার রহস্য উন্মোচন

তারাব বিএনপিতে আগুন : মনোনয়ন–টাকার গন্ধে ফুঁসছে তৃণমূল
Lead 6

তারাব বিএনপিতে আগুন : মনোনয়ন–টাকার গন্ধে ফুঁসছে তৃণমূল

Next Post
নারায়ণগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ, জরিমানা ৩৫ লাখ

নারায়ণগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ, জরিমানা ৩৫ লাখ

Discussion about this post

  • জনপ্রিয়
  • সর্বশেষ
  • নারায়ণগঞ্জে প্রথম বৃহত্তম ঈদ জামাত no comments   05 Sep, 2018
  • না’গঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হত্যার দায় স্বীকার no comments   05 Sep, 2018
  • বন্দরে ওয়াসার পানির দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ no comments   05 Sep, 2018
  • আমি যেখানে বেশি ফুল পাই সেখানে ভয় পাই-ওবায়দুল কাদের no comments   05 Sep, 2018
  • শনিবার ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের বিক্ষোভ no comments   05 Sep, 2018
  • বরিশাইল্যা টিপুর বিরুদ্ধে ভাইয়ের জিডি no comments   05 Sep, 2018
  • আল্লাহভীরু নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চরমোনাই পীরের আহবান no comments   05 Sep, 2018
  • সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা no comments   01 Nov, 2018
  • মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শেখ সালেহ আল-তালিব গ্রেফতার no comments   05 Sep, 2018
  • রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স no comments   05 Sep, 2018
  • ‘প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায়’ দখল : বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ 30 Nov, 2025
  • ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বিএনপি কর্মী পলাতক 30 Nov, 2025
  • আড়াইহাজার থানা থেকে লুট হওয়া শটগান উদ্ধার 30 Nov, 2025
  • ‘জালাল মামা’ : ক্ষমতার চূড়া থেকে আড়ালে ! 29 Nov, 2025
  • নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপারের মিজানুর রহমান মুন্সী’র যোগদান 29 Nov, 2025
  • আদর্শ স্কুল এক্স–স্টুডেন্টদের বৃহত্তম সমাবেশে ‘স্পোর্টস কার্নিভাল–২০২৫’ 29 Nov, 2025
  • মাদক, জুয়া ও বন্ধুত্বের নির্মাম শিক্ষা : তাকবির হত্যার রহস্য উন্মোচন 29 Nov, 2025
  • তারাব বিএনপিতে আগুন : মনোনয়ন–টাকার গন্ধে ফুঁসছে তৃণমূল 28 Nov, 2025
  • নিবন্ধন ছাড়াই খাদ্য বানানো ?—র‍্যাব–১১ দেখাল বাস্তবতা, জরিমানা ১ লাখ ! 28 Nov, 2025
  • ত্বকী হত্যার এক যুগ : তদন্তে গড়িমসি আর আদালতের ধমক 28 Nov, 2025
No Result
View All Result
December 2025
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Nov    

© ২০১৮ ।। নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক : তাহের হোসেন

ফাতেমা টাওয়ার, ৫১ এসি ধর রোড, (আমান ভবনের পিছনে) কালীর বাজার, নারায়ণগঞ্জ ।

ফোন   : ০১৮১৯৯৯১৫৬৮,
              ০১৬১১৩৫৩১৯৮
E-mail : [email protected]
              [email protected]

  • About Us
  • Contact Us
  • Home
  • Privacy Policy

  • Home
  • মহানগর
  • শহরের বাইরে
  • রাজনীতি
  • অপরাধ
  • সারাদেশ
  • আর্ন্তজাতিক
  • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • সংগঠন সংবাদ
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • এক্সক্লুসিভ
    • বিশেষ সংবাদ
    • শিক্ষাঙ্গন
    • অর্থনীতি
    • মন্তব্য প্রতিবেদন
    • সাক্ষাৎকার
    • সাহিত্য ও সংস্কৃৃতি
    • স্বাস্থ্য