উচ্চ আদালতের এমন আদেশের ফলে আবারো নড়েচড়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য অসাধু ব্যক্তি ও চক্র । যারা নানাভাবে নারায়ণগঞ্জ থেকে অর্থ পাচার করে দেশের বাইরে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন । এদের মদ্যে অন্যতম প্যারাডাইস ক্যাবলসের পরিবরের সদস্যদের নাম উঠেছে পূর্ব থেকেই । এ ছাড়াও মাফিয়া ডন ওম প্রকাশ আগারওয়ালের ঘনিষ্ট সহযোগি হারাধন চক্রবর্তীর নামে উঠে আসায় তোলপাড় চলছে নারায়ণগঞ্জ জুড়ে । সরকারের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মহাধূর্ত হারাধন চক্রবর্তীর পরিবারের সদস্য ছাড়াও প্রয়াত দিলিপ সাহার পরিবার, প্রয়াত সমির করের পরিবার, প্যারাডাইস ক্যাবলসের মোশাররফ হোসেন তার স্ত্রী মাহবুবা মোশাররফসহ নারায়ণগঞ্জের অনেক রথি মহারথিরা রয়েছে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের তালিকায় ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে অনেকেই বলেছেন, সারা দেশে যেমন তেমন নারায়ণগঞ্জেই রয়েছে হাজার হাজার দ্বৈত নাগরিক । এই দ্বৈত নাগরিকরা এতটাই দূর্ত তাদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারে না প্রশাসন । এদের অপরাধের দৌড়াত্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার ক্ষেত্রেও গণমাধ্যমকর্মীরাও থাকেন ঝুঁকিতে ! এমন দ্বৈত নাগরিকরা একদিকে রাজনীতিবিদদের সহায়তা নিয়েও আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তাদের ম্যানেজ করতে মহাপটু এই চক্র
বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার ও দুদকের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
এ ছাড়া ১৪ হাজার দ্বৈত নাগরিকের তথ্য জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৩০ মার্চ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ, দুদক ও ব্যাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রিটের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি আ্যটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দীন মানিক শুনানি করেন।
রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস শুনানি করেন।
সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করা হয়।
রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদী চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এই ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়।
গত রোববার রিটের শুনানি শুরু হয়। পরে এ রিটের শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।









Discussion about this post