নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর – বন্দর) আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমার পেছনে যে সাতজন চেয়ারম্যান দাঁড়িয়ে আছে তাদের মধ্যে একজন নতুন। গোগনগরের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী ইন্তেকাল করলে তার পরিবর্তে আমরা জসিম উদ্দিন সাহবেকে সেখানে নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ করেছি।
তবে সব জায়গায়ই বান্দরও থাকে আবার শয়তানও থাকে। এক আলীর পরিবর্তে আরেক আলী হবে, এটা হয় না। আমরা ওই এলাকায় মিটিং করেছি, মিটিং শেষে জনগণের কাছে জসিম উদ্দিনকে চেয়েছি। আমি তাকে নমিনেশন দেয়নি। জনগণের কাছে আমি জসিম উদ্দিনকে চেয়েছি। তারপর কিছু ছিচকে ছোড়াদের নিয়ে উনি মিটিং করে বললো, মানি না মানবো না। তোমার যদি এত বড় কলিজা থাকে তাহলে তুমি জনসমক্ষে মিটিংয়ে বললা না কেন?’
শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকেলে বন্দর ইউনিয়নের টি-হোসেন গার্ডেনে এক মতবিনিময় সভায় ফজর আলীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশও করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী মারা গিয়েছেন কয়েক মাস পূর্বে।
আসন্ন নির্বাচনে এই ইউনিয়নে প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিনের নাম ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান।
তবে অনুসারীদের নিয়ে এক সভায় সাংসদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রয়াত চেয়ারম্যানের ভাই ব্যবসায়ী ফজর আলী। এ নিয়ে আবার ক্ষুব্দ হয়ে উল্লেখিত মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর দেখলাম উনি আমার এবং আমার ছোট ভাইয়ের ছবি দিয়ে নির্বাচনী পোস্টার লাগিয়েছেন। এর আগে আমার অনুমতি ছাড়া আমার ছবি দিয়ে পোস্টার লাগানোয় আমি কিন্তু মামলা করেছি। তার সাথে তিনজন মেম্বার সহযোগিতা করছেন। যার বাড়ির একটা বউ জাপানে, আরেকটা বউ ফিলিপাইনে, আরেকটা নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জে বিশাল বিশাল বিল্ডিং বানিয়েছেন কিন্তু এলাকায় দশ পয়সাও খরচ করেননি। উনার ভাইয়ের যে অবদান ছিল তার বিনিময়ে উনি চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে কিন্তু এলাকার মানুষ সেটি গ্রহণ করবে না। কারণ ওই এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে।’









Discussion about this post