যদি জমি নিয়ে কেউ কোন্দল করে সে যত বড় হোক না কেন মৃত্যুর পরে আল্লাহ জমির ওজনটা তাবিজ বানিয়ে গলার মধ্যে ঝুলিয়ে দিবে। আমি এখন পর্যন্ত একটা কমপ্ল্যাইন পায়নি যে অমুকের জমি আমি দখল করে দিয়েছি। লোভ অতিরিক্ত হয়ে গেলে সে যতই বড় হোক না কেন সে টিকে থাকবে না। আমার ইমান যদি ঠিক থাকে তাহলে কোন শয়তান শয়তানি করতে পারবে না।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এভাবেই উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এইসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রতিটি ইউনিয়নে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত বন্দর ইউনিয়নে শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকাল ৩টায় নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন টি হোসেন গার্ডেনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য বলেন, খোকন সাহা অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে বেশকিছু কথা বললেন। ভালো আর মন্দ এটা তো থাকবেই। ভালো জায়গায় মন্দ কথা বলতে গেলে তাহলে মন্দ যে কথা বলা হয়েছে তার জন্য সময় ব্যয় হবে। একদিন আবু হাসনাত বাদল, চন্দন শীল ও অ্যাড. খোকন সাহা মেয়র হবে, সংসদ সদস্য হবে আবার তাদের মধ্যে কেউ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন।
তিনি আরো বলেন, বাপ দাদারা বলতো রেগে গেছো তো হেরে গেছো। সুতরাং রেগে যেও না। আমি সকলেই দেখতে পাচ্ছি। হিন্দু মুসলিম কারো সম্পত্তিই তিনি ছাড় দিচ্ছেন না। তার জবাব তো উপরে গেলে দিতেই হবে।
সেলিম ওসমান বলেন, আমার আবু জাহের ভাই , এমএ রশিদ ভাই এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুকুল এই তিনজন মানুষ আমার প্রতিদ্বন্ধীর বাড়ির সামনে ডিসকো নাচলেন। এরা ছিল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির এবং তিনজনই ছিলেন তিনটি পার্টির সভাপতি। তাদের বাচ্চার মত আনন্দ ও উল্লাস দেখে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ে গেল। এই তিনটি মানুষ একইসাথে আমার জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমার কোন ক্ষমতা নাই যে কাউকে নমিনেশন দেওয়ার। যদি নমিনেশন দিতে পারতাম তাহলে আমি লাঙ্গল হতাম নাকি আমি নৌকা হতাম। আর এই চেয়ারম্যান দাঁড়িয়ে আছে তারা গতবছর নির্বাচনের সময় বাধ্য হয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ে নির্বাচন করতে। কে ধানের শীষ নিবে, কে নৌকা নিবে, কে লাঙ্গল নিবে। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি এখানে শুধু একজন লাঙ্গল আর দুইজন নৌকা বাকি সবাই সাধারণ মানুষ।
চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তুমি দাঁড়াও আর না দাঁড়াও আমি বলবো তুমি ইলেকশনে দাঁড়াও। আমি দেখেছি মানুষ তোমাকে সমর্থন করে। তোমাকে ভালবাসে। তবে আকাশে উঠে যেও না।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম প্রমুখ।









Discussion about this post