নারায়ণগঞ্জর বিভিন্ন এলাকায় লবণ কারবারি চক্র সরকারের শত শত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিতে নানা কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে এমন অপকর্ম । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে যাচ্ছে এমন অপরাধ ! যার কারণে ভোক্তাদের চোখে ধুলো দিয়ে বিরামহীনভাবে চলছে নারায়ণগঞ্জের অপরাধীদের দৌড়াত্ম
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনের অসাধু চক্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করায় কোন ধরনের ভয়ভীতি ছাড়াই নির্বিঘ্নে অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এই চক্রের অনেকেই
কোনো ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া সরাসরি বস্তা থেকে চারটি মোড়কে লবণ প্যাকটজাতকরণ করা এবং প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ফতুল্লায় মেসার্স সুপার এনার্জি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লবণ ফ্যাক্টরীকে সিলগালা এবং বিএসটিআই এর অনুমোদন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং পরীক্ষাগার ও ক্যামিস্ট ছাড়া রং তৈরীর অপরাধে ফতুল্লায় বাজার অভিযান পরিচালনা করে পেইন্ট এন্ড কেমিক্যাল কোং কে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
৬ মার্চ শনিবার দুপুরে ফতুল্লার রঘুনাথপুর ও কুতুবপুর এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে ওই বাজার অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ক্যাব এর প্রতিনিধি ও জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘চার ধরণের মোড়কে লবণ ভরে বিক্রি করে। সরাসরি বস্তা থেকে ভরে প্যাকট করা হচ্ছিল। তাঁদের কাছে কাগজপত্র চাইলেও তাঁরা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। যে কারণে ফ্যাক্টরীটি সাময়িকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পোলাক পেইন্ট এন্ড কেমিক্যাল কোংয়ের বিএসটিআই এর অনুমোদন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং পরীক্ষাগার ও ক্যামিস্ট ছাড়া রং তৈরীর অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ এবং ৪৫ ধারায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ এবং আদায় করা হয়েছে।’









Discussion about this post