সন্তান হারিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা ও হাজারো হুমকির পর বন্দর প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কাজিম আহমেদ তার সন্তান সহ দুইজনকে হত্যার ঘটনায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন বিবাদীরা তাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
১৩ মার্চ শনিবার বেলা ২টায় বন্দর প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
কাজিম বলেন, আমি একজন সন্তানহারা বাবা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বোঝা হচ্ছে বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। এ ভার আমি আর বহন করতে পারছি না। গত বছর ১০ আগস্ট আমার সন্তান স্কুলছাত্র জিসান আহম্মেদ ও তার বন্ধু মিহাদকে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুরা নির্মমভাবে হত্যা করে। এঘটনায় আমি ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করি। পরবর্তী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকর্তৃক আটককৃত মোক্তার হোসেন, মোঃ আলভি, আহমদ আলী ও মোঃ কাশেমকে গ্রেফতার করে। এঘ টনায় পুলিশ তদন্ত করে হত্যায় জড়িত থাকায় দেলোয়ার হোসেন বাবু, হান্নান,আবু মুছাকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে তারা আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পুলিশ তদন্ত করে বড় শামিম, হান্নান সরকার, নাহিদ, টিঅ্যান্ডটি বাবু, ছোট শামিম, রবিন, রনি, রয়েল, শাকিল, নজরুল ইসলাম নজু, বাবু, আবু মুছা, সায়মন, বাবু, রাজন, সজিব, সাজ্জাদ,জাহান, শাওন, শান্ত, আরিফ, লিজন, জয়, রিয়াদ, এদের জড়িত বলে প্রমাণ পায়।
এজহার নামীয় ও পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীরা জামিনে বের হয়ে এসে আমাকে গোপন বৈঠক করে পলাতক আসামীদের সাথে গোপনে বৈঠক করে পলাতক আসামী শামিম বাহিনীকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সাজানো মানববন্ধন করে প্রকাশ্যে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেরাচ্ছে। গত ১২ মার্চ দিবাগত রাত ১০ টায় এজহারনামীয় আসামী মুক্তারের নেতৃত্বে কয়েকজন আসামী বাগবাড়িস্থ আমার নিজ বাড়িতে আমাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে আমার ছোট বোন শিউলী আক্তারকে হুমকি দিয়ে চলে আসে।
সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি, বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আসামীরা আমার ও আমার পরিবারের যে কোন সময় বড় রকমের ক্ষতি-সাধনসহ খুন খারাপীর মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা আছে। আপনাদের মাধ্যমে এই সকল আসামীদের পুনরায় গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা ও দ্রুত এদের বিচার সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।









Discussion about this post