নারায়ণগঞ্জ শহরের কুখ্যাত চাঁদাবাজদের নেতা, নানা অপরাধের নায়ক শহরের ফুটপাত দখলের নায়ক, মেয়রের পর পুলিশের উপর হামলাকারী চাঁদাবাজ আসাদ ও তার দুই সহযোগীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত ।
রবিবার (১৪ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসীনের আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে প্রেরণকৃত ৩ জন নারায়ণগঞ্জ জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিলেও মূলত শহরের বংগবন্ধু সড়কে চাঁদাবাজি করে বিভিন্ন অসাধু চক্রের কাছে বন্টন করতো আসাদুল ইসলাম (৪০), কালু গাজী (৪০) ও মানিক দেওয়ান (৩১)।
এর আগে গত ৯ মার্চ হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, অস্ত্র লুটের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের মামলায় গ্রেফতার করা হয় হকার নেতা আসাদুল ইসলামসহ তিনজনকে।
১০ মার্চ (বুধবার) সকালে সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে তোলা হয় তিন আসামিকে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ১৪ মার্চ (রোববার) তারিখ ধার্য করেন।
৯ মার্চ বিকেলে বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে বসার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর, পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হকাররা। হকারদের এই তান্ডব চলে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত। ঘটনাস্থল থেকেই জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলামকে আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
এমন ঘটনায় সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের উপর হামলা ও অস্ত্র লুটের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় আসাদুল ইসলাম (৪০), কালু গাজী (৪০) ও মানিক দেওয়ানকে (৩১) গ্রেফতার দেখানো হয়।
এমন রিমান্ড মঞ্জুরের পর আদালত পাড়ায় অনেক আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন উচিত হবে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই চাঁদাবাজ আসাদ ও তার চক্রসহ শহরের কয়েকজন লাইনম্যন চাঁদা উত্তোলনের পর কোন কোন অসাধু রাজনীতিবিদ, বিশেষ পেশার কারা কারা এবং কোন কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এদের কাছ থেকে ভাগ বাটোয়ারা আদান প্রদান করে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন করা উচিৎ । এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করবে কে ? পুলিশ তো এই চাঁদাবাজদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করে আসছে বছরের পর বছর যাবৎ ।









Discussion about this post