নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রতিটি ফুটপাতে চাঁদাবাজি যেন একেবারেই বৈধ করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা, পুলিশের কর্মকর্তা ও বিশেষ পেশার নামধারীদের উচ্ছিষ্টভোগিচক্র । আর উচ্ছিষ্টভোগীদের এমন ধারনা উল্টো করে দিয়েছে র্যাব ১১ এর সদস্যরা ।
দীর্ঘদিন পর হলেও নারায়ণগঞ্জ শহরের র্যাব কার্যালয়ের নাকের ডগায় চাঁদাবাজি করাকালে র্যাব সদস্যদের হাতে চাঁদাবাজির টাকাসহ গ্রেফতারের খবরে র্যাবকে সাধুবাদ জানিয়েছে নগরবাসী । অনেকেই বলেছেন নগরীর প্রতিটি ফুটপাতে এমন ১৫/২০ জন চাঁদাবাজ চক্রের (যাদেরকে পুলিশ লাইনম্যান হিসেবে ডাকে) সদস্যদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেড়িয়ে আসবে চাঁদাবাজির কোটি কোটি টাকা কার কার পকেটে যায় !
ফুটপাতে চাঁদাবাজি করার সময় চাঁদাবাজির টাকাসহ মো. আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস (৩০) নামের এক চাঁদাবাজকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া সাত টার দিকে শহরের জেলা সরকারী গণ গ্রন্থাগারের বিপরীতে শায়েস্তা খান রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে চাঁদাবাজ চক্রের প্রধান সোহেল।
গ্রেফতারকৃত আসামি হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হওয়া মো. আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার নদীরাবাদ এলাকার গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম জানান, একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে সরকারী গণ গ্রন্থাগারের বিপরীতে শায়েস্তা খান রোডের ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলো হতে চাঁদাবাজি করে আসছিল।
পলাতক আসামি সোহেলের নেতৃত্বে এই চক্রটি ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানপ্রতি ৪০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। কয়েকজন অস্থায়ী দোকান মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য মো. আব্দুল্লাহ ওরফে বিজয় চন্দ্র দাস’কে চাদাঁবাজির নগদ চার হাজার চল্লিশ টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি স্বীকার করে সোহেলের প্রত্যক্ষ মদদে ও যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামি ও পলাতক আসামি সোহেলের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।









Discussion about this post