বন্দরে এনবিএফ ব্রিক ফিল্ডের বিরুদ্ধে বসতি বাড়ির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বন্দরের দাশেরগাওস্থ ফুনকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মিনু বেগম বাদী হয়ে সোমবার (১৫ মার্চ) বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গেছে, বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের ফুনকুল স্কুল, মসজিদ ও জনবসতি এলাকায় এনবিএফ (নারায়নগঞ্জ ব্রিক ফিল্ড) টি পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে গড়ে তুলেছে অবৈধ ইট ভাটা ।
আর এই ইট ভাটার মাটির জন্য ফসলি জমি ভেকু দিয়ে কেটে সাবার করে দিচ্ছে।
বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও নারায়নগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্তাদের ম্যানেজ পূর্বক চালাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। ফসলি জমি পার্শে থাকা বসতি বাড়িও রক্ষা পাচ্ছে না।
এনবিএফ ইটভাটার মালিক দাশেরগাও এলাকার মনির মিয়ার ছেলে সেলিম, মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে সেলিম, ফনকুল এলাকার জাকির মাষ্টারের ছেলে সহিদুল, আব্দুল হাইয়ের ছেলে সেলিম ও তৌরিক মিয়া একই এলাকার ফসলি জমির মাটি কেটে আনছে।
গত ১৫ দিন যাবত তারা রাতের আধারে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষিদ্ধ ভেকু দিয়ে মাটি কেটে আনছে। জমির পাশে মৃত আশাবুদ্দিনের ৬ শতাংশ বাড়ি আছে। ভেকু দিয়ে জমির মাটি কাটার কারনে ওই বাড়ির অনেকাংশ ধসে পড়েছে।
নিজ বাড়ি রর্ক্ষাথে মৃত আশাবুদ্দিনের স্ত্রী মিনু বেগম প্রথমে বাধা দেয়, পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে জানায়। মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে জানালে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে উল্লেখিতসহ অঞ্জাতনামা একদল লোকজন মিনু বেগমের বাড়িতে যায় এবং শারিরিকভাবে লাঞ্চিত ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ মনকি বেশি ভাড়াবাড়ি করলে তার ছেলেকে প্রান নাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ দীপক চন্দ শাহ বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি কাটা নিষিদ্ধ তারপর আবার বসতি বাড়ির ক্ষতি হবে তা ঠিক না। অভিযোগ হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।









Discussion about this post