নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা আবারো একই ভংগিমায় রাজনৈতিক বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমি কিন্তু সব জানি সব বলে দেবো ! আমি সেই প্রজেক্ট নিয়ে নেমেছি সেই বিষয়ে বলবো ।’
শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে চাষাঢ়ায় কৃষি ব্যাংকের সামনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও তাঁতী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি একথা জানান।
ওই অনুষ্ঠানে প্রায় বিশ মিনিটের মতো সময় বক্তব্য রাখেন খোকন সাহা। বক্ত্যবের এক পর্যায়ে এসে তিনি বলেন, ‘বক্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না। সর্বশেষ আমি যেই প্রজেক্ট নিয়ে নেমেছিলাম সেই বিষয়ে বলবো। আমি নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫০ বছরের ইতিহাস আমি জানি। একাত্তর সাল পরবর্তী সমস্ত ইতিহাস আমি জানি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি কিন্তু সব বলে দেবো। ’৭২ সাল থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত কারা কারা মুক্তিযোদ্ধার লেবাস ধরে নারায়ণগঞ্জে লুটপাট করেছেন, জায়গা সম্পত্তি দখল করেছেন, কোন নামে কিনেছেন তা কিন্তু সব জানি। সব বলে দিবো, বললে কিন্তু মুখ দেখাতে পারবেন না। এখনও বলছি ভালো হয়ে যান, আমাদেরও ভালো থাকতে দেন।’
তিনি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘অনেক আগেই আমাকে এই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এই অনুষ্ঠান শহীদ মিনারে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে গণসংহতি আন্দোলন নামে ভূঁইফোড় একটি সংগঠনকে পারমিশন দেওয়া হয়েছে। আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আমি ভাবতে লাগলাম তিনি তাঁতী লীগকে অনুমতি না দিয়ে গণসংহতির মতো একটি সংগঠন যারা আমার নেত্রীর সমালোচনা করছে, আমার সরকারকে ডোবানোর চেষ্টা করছে তাদের পারমিশন দিলেন। আমার লজ্জা লাগে। উনি কী আওয়ামী লীগ করে ? আমি কিন্তু ওনাকে আওয়ামী লীগার হিসেবে ধরি না। মনে হয় না উনি আওয়ামী লীগ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও তাতীলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করতে দিলেন না তিনি। কী বিচিত্র এই নারায়ণগঞ্জ !’
তিনি আও বলেন, ‘আমি তো জানি কাদের ভোটে আপনি নির্বাচিত। চিনবেন না আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আর নির্বাচনের পরে বলবেন, আমি এই যোগ্যতায় সেই যোগ্যতায় পাস করেছি। সেটা কিন্তু আর হবে না। দেবোত্তর সম্পত্তি, মসজিদের জায়গা খাওয়া হবে না। দায়মুক্ত হন। দায়মুক্ত হয়ে ভালোভাবে চলেন, এইটাই চাই।’
আওয়ামী লীগ থেকে শেখ হাসিনার কাছে অব্যাহতি চেয়েছিলেন বলেও জানান মহানগর আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘নেত্রীর কাছে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। নেত্রী সংগঠন করতে বললেন। আমি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।’
খোকন সাহা বলেন, ‘সুনামগঞ্জে হামলা ও কুড়িগ্রামে মূর্তি ভাঙা হয়েছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য। তথাকথিত মৌলবাদীরা উসকানি দিচ্ছে। কারা কেন করছেন তা আমরা জানি। সেনাবাহিনীকে, পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। তাদের বিতর্কিত করা যাবে না। কেননা তারা জাতির দুর্দিনে তারা পাশে দাঁড়ায়।’
মহানগর তাঁতী লীগের আহ্বায়ক ফারুক সাহেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল ইসলাম পলাশ, দপ্তর সম্পাদক অনুকূল চন্দ্র মন্ডল, জেলা তাঁতী লীগের সদস্যসচিব আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল হোসেন রাসেল প্রমুখ। বক্তব্য শেষে কেক কাটা হয়।









Discussion about this post