জেলার প্রতিটি থানার এমন কোন পাড়া মহল্লা নাই যেখানে কিশোর গ্যাং এর উপদ্রব দেখা যায় না । নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় এমন কিশোর গ্যাং এর মাত্রাতিরিক্ত আস্ফালনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলাবাদী । কিশোর গ্যাং ও মাদক নিয়ে প্রতিটি থানায় ওপেন হাউজ ডে তে কঠোর হওয়ার কথা বলা হলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ ই দেখা যায় না এমন অপরাধী দমনের জন্য ।
সদর উপজেলার ফতুল্লায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য রনি-জনির নেতৃত্বে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ওই গ্রুপের সদস্যরা।
সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সজ্জে সজ্জিত হয়ে ভাঙচুর করে তাণ্ডবলীলা চালায়। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিশোর গ্যাংদের ভয়ে ব্যবসায়ী রিয়াদ আহম্মেদ সহ তার পরিবার সদস্য পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) ব্যবসায়ী রিয়াদ আহম্মেদ বাদী হয়ে কিশোর গ্যাং সদস্য রনি-জনিসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এদিকে সারা দেশে কিশোর গ্যাং সদস্যদের তান্ডবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সোচ্চার হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিশোর গ্যাংদের তালিকা তৈরি করে পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য রনি-জনি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে ব্যবসায়ী রিয়াদ আহম্মেদের বাড়ির সামনে মহড়া দেয়।
একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা রিয়াদকে না পেয়ে তার বাড়িতে তাণ্ডবলীলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা রিয়াদের বাড়ি ভাঙচুর করে বাড়ির লোকদের হুমকি দিয়ে বীরদর্পে চলে আসে। এতে করে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, রিয়াদের দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের সিসিটিভির ভিডিও দেখেছি। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।








Discussion about this post