শব ই বরাত (২৯ মার্চ) রাতের ইবাদত কালীন সময়ে নানা নাটকীয়তার অংশ হিসেবে মসজিদের মিম্বরে বসে মুসুল্লীদের উদ্দেশে হেফাজত নেতা মাওলানা আব্দুল আউয়াল তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করেন ।
এর এক দিনের ব্যবধানে ৩১ মার্চ বুধবার দুপুরে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবিব, মামুনুল হক, মনির হোসেন কাশিমীসহ অনেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদে এসে একান্ত বৈঠক করে মাওলানা আব্দুল আউয়ালের মান ভেংগেছে বলে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেন।
হেফাজত নেতাদের আগমন, বৈঠক, প্রচুর মুসুল্লীদের সাথে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে করোনার এই নতুন ক্রান্তিলগ্নে কেউ কোন স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা যায় নাই । অথচ সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পেয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ পাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে । এমতাবস্থায় হেফাজত সমর্থিত নেতা ও বিশাল সমর্থকেরা স্বাস্থ্য বিধি না মানায় নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট সংবাদ প্রকাশ করে, ‘আইন মানে না হেফাজত !’ এই শিরোনামে ।
এমন সংংবাদ প্রকাশের পর হেফাজত সমর্থিত অসংখ্য ভক্ত নানাভাবে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
অনেকেই নিজেদের ফেসবুক আইডি লক করে এবং ফেক আইডি ব্যবহার করে মন্তব্য করেছেন, তারা দেশের কোন আইন মানেন না !
এমতাবস্থায় আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ শহরে (২ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিল করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে হতাহতের প্রতিবাদে হরতালের পর এই বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকা হয়।
তবে নারায়ণগঞ্জে করোনার প্রকোপের কারণে সভা-সমাবেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিকে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। শহরের ডিআইটি এলাকায় রেলওয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে বাদ জুমা এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
এমন ঘটনায় নগরীর অনেকের প্রশ্ন, যেহেতু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সভা সমাবেশ, বিনোদন, পার্ক বন্ধ হয়েছে সেহেতু নারায়ণগঞ্জে হেফাজত ইসলামের সমর্থকেরা এই বিক্ষোভ করবেন কি করে ? তাহলে কি আবারো বিতর্কের জন্ম দিবেন হেফাজতের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।









Discussion about this post