দীর্ঘদিন যাবৎ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো সানোয়ার হোসেন । কখনো মেয়র, কখনো, আইজিপি, আবার কখনো আওয়ামীরীগের বিশাল নেতা পরিচয় দিয়ে এমন অপকর্ম করতো বলে ব্যাপক চাউর থাকার পর এবার প্রতারণার অভিযোগে ফতুল্লা থানা পুলিশ সানোয়ার তালুকদারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহকারি দপ্তর সম্পাদক সানোয়ার তালুকদারকে জামিনে মুক্ত করতে আদালতে আবেদন পত্র দাকিল করেছে তার আেইনজীবী।
সোমবার সকাল ১০টায় ৩৫ লাখ টাকার প্রতারণার মামলায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সানোয়ার তালুকদার নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বেপারীপাড়া ছোনখোলা এলাকার মৃত আজিম উদ্দিন তালুকদারের ছেলে।
জানা যায়, সানোয়ার তালুকদার কর্পোরেশন থেকে দোকান বরাদ্ধ নিয়ে নিরীহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল।
প্রসঙ্গতঃ বন্দরের জনৈক হোসিয়ারী ব্যবসায়ী খবির আহাম্মদের কাছ থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের একটি দোকান বাবদ প্রায় ৪০ লাখ টাকায় (আম মোক্তারনামা দলিলমূলে) বিক্রি করেন ।
সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন ওই দোকানটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিলে ব্যবসায়ী খবির আহাম্মদ অনেকটা নিঃশ্ব হয়ে পড়ে। উপায়ন্তর না পেয়ে সুবিচার পেতে খবির আহাম্মদ নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
যার নং ২৮০/২১ইং ওই মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানার বলে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, একটি প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টের বলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
জানা যায় এক সময় এই সানোয়ার হোসেন ব্যাংকে চাকুরী করতে । বাংলাদেশ বেতারেও চাকরী হলেও শেষ পর্যন্ত নানা জটিলতায় এমন চাকরী হাতছাড়া হলে প্রতারণার আশ্রয় নিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও মেয়রের নাম ব্যবহার করতো । আর এমন প্রতারণার বিষয় জানতে পেরে মেয়র এই সানোয়ার হোসেনকে পাত্তাও দিতেন না বলে চাউর রয়েছে ।









Discussion about this post