আসন্ন রমজান ও ঈদ কে সামনে রেখে নানা ধরনের অপরাধী কর্মকাণ্ড জড়িয়ে পরেছে অসাধু একাধিক চক্র ।
এদের মধ্যে সারা বছর যেমন তেমন রমজান মাসে মুড়ি কারখানা গত এক মাস যাবৎ ২৪ ঘন্টা বিরামহীনভাবে গ্যাদ চুরির মহোৎসব চলছে নারায়ণগঞ্জের প্রায় ৩০ টি বড় ধরনের কারখানায় ।
মুড়ি তৈরীতে তিতাস গ্যাস চুরি, সাথে বিষাক্ত হাইডোজ ও ইউরিয়া সার মিশ্রণের মাধ্যমে প্রতিটি কারখানা ই দেশবাসীর সাথে করছে প্রতারণা ।
ঠিক একই ভাবে ঈদে পোষেকের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে কুমিল্লা প্রায় ২০/২৫টি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকার নিষিদ্ধ পোশাকসহ নানা চোরাই পন্য নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট দখল করে নিচ্ছে ।
ফলে অপরাধী চক্র তাদের এই কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে পরিচালিত করতে থানা পুলিশ, জেলা ডিবি পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ সিআইডি কে ম্যানেজ করতে নানাভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে ।
আর সেই ম্যানেজের মাধ্যম হলো পুলিশের অলিখিত ক্যাশিয়ার মোফাজ্জল হোসেন বিষু ও মিশুক ওরফে মিশু।
এমন অসংখ্য চোরাকারবারি, অপরাধী, জ্বালানি ও ভোজ্য তেল চোরচক্র, নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য লবন চোরাকারবারি চক্র, শহরের টানবাজার রেলী বাগান ও মেথরপট্টিসহ প্রতিটি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী, মদের দোকান, মহানগরীর কয়েকটি নিষিদ্ধ পলিথিনের কারখানা, অসাধু হোটেল ব্যববসায়ীসহ শহরের নিতাইগঞ্জের সুতা চোর চক্র, নকল সেমাই কারখানা, গম চোর চক্রসহ অসংখ্য অপরাধীরা নিয়মিত মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও সিআইডির অভিযান বন্ধ করা হচ্ছে ।
আর এই সিআইডি ও ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার হিসেবে পুরো নারায়ণগঞ্জ চষে বেড়িয়ে মাসোহারা আদায় করছে কুখ্যাত অপরাধী শহরের বাবুরাইল এলাকার বিশাল অট্টালিকার মালিক মোফাজ্জল হোসেন বিষু আর তার সহযোগী সিদ্ধিরগঞ্জের মিশুক ওরফে মিশু ।
শিশু সিদ্ধিরগঞ্জের শতাধিক জ্বালানী তেলচোরদের কাছ থেকে কখনো ডিবি পুলিশের এএসপি আবার কখনো ওসির নাম ব্যবহার করে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করে যাচ্ছে ।
আবার একই পন্থায় মোফাজ্জল হোসেন বিষু নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের এএসপি ও ওসিসহ দারোগাদের নাম ব্যবহাব করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে দীর্ঘদিন যাবৎ ।
নারায়ণগঞ্জ সিআইডির এএসপি ও ডিবি পুলিশের এএসপিসহ ওসি, ইন্সপেক্টর ও দারোগাদের নাম ব্যবহার করে এমন চাঁদাবাজির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে ।









Discussion about this post