আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ব্যাক্তি এ বিষয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলেও কোন প্রকার প্রতিকার পায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লা থানা সংলগ্ন যমুনা ডিপোর বিপরীতে রুসেন হাউজিংয়ের ভিতরে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ফতুল্লা থানা সংলগ্ন রুসেন হাউজিংয়ের ভিতরে প্রবেশ মুখে একটি জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সিনিয়র সহকারী জজ আদালত উক্ত মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে যে যে অবস্থায় রয়েছে সে অবস্থায় থাকার জন্য এবং কোন প্রকার কাজ না করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। কিন্ত জনৈক ইউসুফ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে উক্ত জমিতে বিল্ডিং নির্মান করে আসছে ।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইউসুফ মিয়া রাতে কাজ শুরু করলে তিনি জরুরী সেবা ৯৯৯ -এ ফোন করে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাদের নির্মান কাজ (ঢালাই) করার প্রক্কালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে আসে। পুলিশ চলে আসার দু- চার মিনিট পর আবারো ইউসুফ কাজ শুরু করে।
তিনি এ বিষয়ে থানা পুলিশ কে অবগত করলে থানা পুলিশ ঘন্টা দুয়েক পরে সেখানে উপস্থিত হলে দেখতে পায় যে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী মাহাতাবউদ্দিনের অভিযোগ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করলো, পুলিশ কে জানানো হলো পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য প্রমান পেলো অথচ রহস্যজনক কারনে পুলিশ ইউসুফের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থ গ্রহন করলোনা।যা সত্যিই দুংখ জনক।
এমন অভিযোগের বিষয়ে খোজ নিয়ে নির্ভরশীল সূত্র থেকে আরো জানা যায়, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে ঢাকায় কর্মরত জাহিদ নামের এক বিশেষ পেশার ব্যক্তি দুই লাখ টাকা লেনদেন করে এবং ওই কর্মকর্তার পরামর্শে লকডাউনের আগর রাতে ভবন নির্মানের সুযোগ করে দেয়া হয় । ফলে পুলিশকে যতই জানানো হউক পুলিশ ভানুমতির খেলার মতো অভিনব খেলা দেখিয়ে ভবন তৈরীতে সুযোগ করে দিয়েছে বলে জানা যায় ।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কি করে রাতে আধারে ইমারত নির্মান হচ্ছে এমন প্রশ্নে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মধ্য রাতে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, এমন ঘটনা আমাদের জানা নাই তো । আর আদালতের কথা যদি কেউ না শুনে তরে কি করা যায় । কতবার পুলিশ পাঠানো যায় । বিষয়টি আমি দেখতেছি ।








Discussion about this post